(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mumbai oxygen man : কোভিড আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে ২২ লাখের গাড়ি বিক্রি মুম্বাইয়ের শাহনওয়াজের
শাহনওয়াজ শেখ। মুম্বাইয়ের মালাড়ের বাসিন্দা। নেশা- অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আর সেই মানসিকতা থেকেই নিজের ২২ লাখের SUV গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন শাহনওয়াজ। লক্ষ্য, নিজের এলাকার কোভিড আক্রান্ত মানুষের সাহায্য করা।
মুম্বাই : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা। অনেকে জায়গাতেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার মুখে। অক্সিজেন ঘাটতির খবর আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও দিন-রাত এক করে কাজ করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু, অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে অনেক জায়গাতেই চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এই সঙ্কটের মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের এক ব্যক্তি।
শাহনওয়াজ শেখ। মুম্বাইয়ের মালাড়ের বাসিন্দা। নেশা- অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আর সেই মানসিকতা থেকেই নিজের ২২ লাখের SUV গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন শাহনওয়াজ। লক্ষ্য, নিজের এলাকার মানুষের সাহায্য করা।
নিজের গাড়ি বিক্রি করে যে অর্থ উঠে এসেছে তা দিয়ে শাহনওয়াজ প্রায় ১৬০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করেছেন। যাতে অক্সিজেনের অভাব হলে কোনও করোনা আক্রান্তের সমস্যা না হয়। নিরলসভাবে তিনি কোভিড আক্রান্তদের অক্সিজেনের সিলিন্ডার জোগান দিয়ে চলেছেন। এভাবেই তিনি এলাকায় হয়ে উঠেছেন 'অক্সিজেন ম্যান'। এবারই প্রথম নয়, গতবছর প্যানডেমিক শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি কোভিড আক্রান্তদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে, শাহনওয়াজের অক্সিজেন জোগানের পিছনে রয়েছে ছোটো একটি গল্প। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গতবছর তাঁর এক বন্ধুর স্ত্রী অক্সিজেনের অভাবে অটোয় মারা যান। তার পর থেকেই তিনি অক্সিজেন সরবরাহের কাজ করে চলেছেন। শাহনওয়াজ জানান, গতবারের থেকে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। জানুয়ারি মাসে অক্সিজেনের জন্য তিনি ৫০টি কল পেয়েছিলেন। আর এখন প্রতিদিন ৫০০-৬০০ ফোন কল পান তিনি।
কোভিড আক্রান্তদের সাহায্যে একটি হেল্পলাইন শুরু করেছেন শাহনওয়াজ। যার মাধ্যমে সময়ে সব সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর দল ৪ হাজারের বেশি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁর টিমের তরফেই রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা শিখিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবহারের পর অধিকাংশ রোগীই ফাঁকা সিলিন্ডার তাঁদের কন্ট্রোল রুমে ফিরিয়ে দিয়ে যান। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।