Namo Drone Didi Yojana: 'নমো দিদি ড্রোন' কেন্দ্রীয় সরকারের এই যোজনায় 'ড্রোন পাইলট' হওয়ার প্রশিক্ষণ পাবেন গ্রামীণ মহিলারা
Namo Didi Drone: ড্রোন ব্যবহার করা হবে চাষবাসের কাজের জন্য। যেমন- শস্যের কেমন ফলন হচ্ছে, সার ঠিকভাবে চাষের জমিতে স্প্রে করা হচ্ছে কিনা, জমিতে সঠিকভাবে বীজ বপণের কাজ হয়েছে কিনা- এইসব দেখা হবে।
Namo Drone Didi Yojana: 'নমো দিদি ড্রোন' (Namo Drone Didi Yojana) নামের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে জড়িয়ে রয়েছে চমক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার অর্থাৎ ১১ মার্চ ১০০০ 'নমো ড্রোন দিদি'- দের ১০০০ ড্রোন বিতরণ করেছেন। ১০টি আলাদা আলাদা অবস্থান থেকে এই মহিলারা একযোগে তাঁদের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। দিল্লিতে সশক্ত নারী বিকশিত ভারত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন যে নারী শক্তি একুশ শতকের ভারতে প্রযুক্তির বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে পারবে। বর্তমানে আমরা তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, মহাকাশ জগত, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতীয় মহিলাদের প্রতিপত্তি দেখতে পাই। মহিলা বাণিজ্যিক পাইলটের (women commercial pilots) ক্ষেত্রেও ভারতের স্থান বিশ্বের প্রথম। 'নমো দিদি ড্রোন' এবং সশক্ত নারী বিকশিত ভারত - এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১৫ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী (Self Help Groups) একসঙ্গে যুক্ত হবে। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের দক্ষ ড্রোন পাইলট হয়ে ওঠার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই সমস্ত ড্রোন ব্যবহার করা হবে চাষবাসের কাজের জন্য। যেমন- শস্যের কেমন ফলন হচ্ছে, সার ঠিকভাবে চাষের জমিতে স্প্রে করা হচ্ছে কিনা, জমিতে সঠিকভাবে বীজ বপণের কাজ হয়েছে কিনা- এইসব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ চালানো হবে ড্রোনের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে অসংখ্য মহিলা অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ পাবেন। অর্থনৈতিক ভাবে তাঁদের ভিত মজবুত হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে ড্রোন প্রযুক্তির পথ আরও প্রশস্ত হবে। এর পাশাপাশি 'নমো ড্রোন দিদি' প্রকল্পের মাধ্যমে একাধিক নতুন দিক উন্মোচিত হবে দেশে। বিগত ১০ বছরে ভারতে যেভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বিকাশ লাভ করেছে তা সত্যিই আলোচনার বিষয়। এই সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে।
দিল্লির ওই অনুষ্ঠানে বিরোধীদেরও একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'যখনই আমি মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলেছি তখনই কংগ্রেসের মতো দল আমার ব্যাপারে মজা করেছে, আমায় অপমান করেছে। মোদির প্রকল্পগুলি বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে।' এর পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী লাখপতি দিদিদের কৃতিত্বের কথাও বলেছেন। দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন (Deendayal Antyodaya Yojana-National Rural Livelihoods Mission)- এই প্রকল্পের আওতায় লাখপতি দিদিরা সাফল্য অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে অন্যান্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সাফল্য অর্জনের পথে অনুপ্রেরণাও দিয়েছেন লাখপতি দিদিরা। রাজধানী শহরের ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করেছেন। এখানে আবার থাকছে ভর্তুকি যুক্ত সুদের সুবিধা। এছাড়াও ২০০০ কোটি টাকা বিতরণ করেছেন মূলধন সহায়তা তহবিলে (Capitalization Support Funds)।