Narada sting case: নারদ মামলায় এবার প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিতে চলেছে ইডি
সূত্রের খবর, সিবিআই যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সেই ৫ জনের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
কলকাতা: সিবিআইয়ের চার্জশিটের পর এবার নারদ-মামলায় প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, সিবিআই যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সেই ৫ জনের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে খবর, নারদ স্টিং অপারেশনে যে অঙ্কের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ অ্যাটাচ করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রসিকিউশন কমপ্লেন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডি-র দাবি, আর্থিক তছরূপ মামলায় প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল অথবা স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় রাজ্যের চার হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই চারজন ও অন্য এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই।
এই মামলায় চার হেভিওয়েটের গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। বিজেপি এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
এই ঘটনায় হেভিওয়েটদের অন্তর্বর্তী জামিন নিয়েও আইনি লড়াই চলছে।গ্রেফতারের দিনেই বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁদের জামিন দিয়েছিল। সেই জামিনে ওই দিন রাতেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।সেই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করার আর্জি হেভিওয়েটদের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে জানানো হয়। সেই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে জামিন নয়, নারদকাণ্ডে আপাতত গৃহবন্দি থাকতে হবে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। করোনা-যুদ্ধে জড়িতদের ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক কাজের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার সকাল ১১টায় ৪ নেতা-মন্ত্রীর জামিনের উপর স্থগিতাদেশ নিয়ে শুনানি হবে।
শুক্রবার শুনানির শুরু হওয়ার পরই বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৪ জন নেতা-মন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।কিন্তু, বিরোধিতা করে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানান, তিনি এখনই জামিন দেওয়ার বিরুদ্ধে।
দুই বিচারপতির মধ্যে এই মতভেদের জেরে আদালত সিদ্ধান্ত নেয়, অন্য কোনও বেঞ্চে এ নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত, জেল হেফাজতে থাকতে হবে না সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁরা আপাতত হাউজ অ্যারেস্ট বা গৃহবন্দি থাকবেন।
কিন্তু, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ চান, সিবিআই-এর আইনজীবী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তা খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।মামলা অন্যত্র সরানোর জন্য সিবিআই-যে আবেদন করেছিল, তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুক্রবার নেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।সোমবার সব মামলার শুনানি হবে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে।