Nasa: পৃথিবীর কান ঘেঁষে যাওয়া ১০০০তম গ্রহাণু শনাক্ত নাসার
এই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকারক, এমন প্রমাণ পাননি বিজ্ঞানীরা।
নয়াদিল্লি: পৃথিবীর কান ঘেঁষে চলে যাওয়া ১০০০তম গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েডকে এবার শনাক্ত করল নাসা (Nasa)। নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরি জানিয়েছে পৃথিবী থেকে মাত্র ১.৭ কিলোমিটার দূর থেকে অতিক্রম করেছে এই গ্রহাণু। তবে এই গ্রহাণু পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করেনি। এই গ্রহাণু নাম 2021 PJ1। র্যাডারের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই গ্রহাণু ৬৫ থেকে ১০০ ফুট প্রশস্ত। ১০০০তম পৃথিবীর পাশ থেকে যাওয়ার সাত দিন পরে ১০০১ তম গ্রহাণুও পৃথিবী অতিক্রম করে। নাসার জেট প্রোপালসান জানিয়েছে, এই গ্রহাণু আকারে ছোট হওয়ায়, ছবিতে ধরা পড়েনি।
নাসার গ্রহাণু র্যাডারে রিসার্চ প্রোগ্রামের নেতৃত্ব দেন ল্যান্স ব্যানের। তিনি জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুর স্পষ্ট ছবি র্যাডারে ধরা পড়েনি। মিলিয়ন মাইল দূরত্বে অত্যন্ত ছোট ছিল এই গ্রহাণু। তবুও সেই দূরত্বে, র্যাডারে শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। এই র্যাডারে মাধ্যমে গ্রহাণুর বেগকে পরিমাপ করা যায়। ভবিষ্যতে এই তথ্য কাজে লাগবে।
১৯৬৮ সাল থেকে দ্রুত গতির কোনও বস্তুকে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে র্যাডার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের NEO কক্ষপথ বুঝতে সাহায্য করে। র্যাডার এমন তথ্য প্রদান করে যা ভবিষ্যতের গতির গণনার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কোনও গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানতে চলেছে কি না, অথবা কাছাকাছি চলে আসছে কি না তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করে। একইসঙ্গে র্যাডার গ্রহাণু আকৃতি, স্পিন রেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়ে থাকে।
অর্ধেকের বেশি গ্রহাণুকে শনাক্ত ও নথিভুক্ত করা হয়েছে পর্তো রিকোর আরেসিবো পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে মোতায়েন টেলিস্কোপের মাধ্যমে। ২০২০ সালে টেলিস্কোপটির কার্যমেয়াদ শেষ হয়েছিল। ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের ক্যানবেরার ডিপ স্পেস কমিউনিকেশন কমপ্লেক্সে অ্যান্টেনা ব্যবহার করে ১৪টি এনইএ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, NEO পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির এক চতুর্থাংশ NEA র্যাডারের মাধ্যমে হয়েছে।
আরও পড়ুন: India Corona Update: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা-গ্রাফ, ১৪ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ