এক্সপ্লোর
Advertisement
করোনা সংকটে আশার আলো, দেশে এই প্রথম প্লাজমা থেরাপিতে সুস্থ আক্রান্ত
করোনা সংক্রমণের লক্ষ্মণ তেমন একটা ছিল না। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ৪ এপ্রিলই ম্যাক্স হাসপাতালের কোভিড-১৯ ফেসিলিটিতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরের কয়েকদিনে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়।
নয়াদিল্লি: করোনা সংকটের মধ্যেও আশার আলো। দেশের করোনা আক্রান্ত হিসেবে এই প্রথম প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেন দিল্লির এক ব্যক্তি। তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ এবং রবিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে সাত দিন আগেও ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি। গত ৪ এপ্রিল ৪৯ বছরের ওই ব্যাক্তির করোনা টেস্ট পজিটিভ হয়।
করোনা সংক্রমণের লক্ষ্মণ তেমন একটা ছিল না। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ৪ এপ্রিলই ম্যাক্স হাসপাতালের কোভিড-১৯ ফেসিলিটিতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরের কয়েকদিনে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি ও টাইপ-১ রেসপিরেটরি ফেলিওর-ও দেখা দেয়। তাঁকে ৮ এপ্রিল ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দিতে হয়েছিল। রোগীর অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা প্লাজমা থেরাপির করার অনুরোধ জানান। দেশে তিনিই প্রথম করোনা আক্রান্ত যাঁর রোগ নিরাময়ের জন্য এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা প্লাজমা দাতার খোঁজার কাজে এগিয়ে আসেন। পাওয়ায় যায় দাতা। তিনি প্লাজমা দানের তিন সপ্তাহ আগে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন (দাতার পরপর দুটি টেস্ট নেগেটিভ এসেছিল)। এই থেরাপির নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে এছাড়াও হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ও এইচআইভি সংক্রমণ সংক্রান্ত অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখা হয়। সবকিছু ছাড়পত্র মেলার পর চিকিত্সা পদ্ধতি হিসেবে ৪৯ বছরের গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তকে নতুন প্লাজমা দেওয়া হয় ১৪ এপ্রিল।
চিকিত্সকের বক্তব্য অনুযায়ী, কোনও দাতা ৪০০ এমএল পর্যন্ত প্লাজমা দিতে পারে, যা দুটি রোগীর জীবন রক্ষা করতে পারে। কারণ, এক রোগীর চিকিত্সার জন্য ২০০ এমএল পর্যাপ্ত।
এই চিকিত্সার পর রোগীর অবস্থার উন্নতির লক্ষ্মণ দেখা যায় এবং চতুর্থ দিনের মধ্যে ১৮ এপ্রিল শনিবার তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট থেকে বের করা সম্ভব হয়। তবে অক্সিজেন চলছিল তাঁর। ভেন্টিলেটর সাপোর্ট থেকে বের করে আনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুখে খাবার খেতে পারছিলেন তিনি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুটি টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর সোমবার তাঁকে ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখতে একটি রুমে স্থানান্তরিত করা হয়।
চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় রোগী সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং তাঁকে আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, তাঁকে আগামী দুই সপ্তাহ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement