লকডাউনে ক্ষতি কাজের, পিছোতে পারে গগনযান মিশনের প্রথম টেস্ট ফ্লাইট, হাল ছাড়তে নারাজ ইসরো
মহাকাশ গবেষণা প্রকল্পও মার খেল কোভিড-১৯ এর জেরে
বেঙ্গালুরু: করোনা অতিমারীর প্রভাব পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র এবং সবকিছুর ওপর পড়েছে। এবার বাদ গেল না মহাকাশ গবেষণা প্রকল্পও। সূত্রের খবর, কোভিড-১৯ আবহে পিছিয়ে গেলেও যেতে পারে ভারতের মহাকাশ গবেষণার একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
খবরে প্রকাশ, ভারতের মহাকাশে মানুষ পাঠানোর উচ্চাভিলাষী গগনযান প্রকল্পের প্রস্তুতি সাময়িক ধাক্কা খেল। কোভিড-১৯ আবহে পিছিয়ে যেতে পারে এই প্রকল্পের প্রথম মানবহীন টেস্ট ফ্লাইট। যদিও, সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি।
২০২২ সাল নাগাদ মহাকাশে মানব পাঠানোর কথা ভারতের। তার অন্তর্গত চলতি বছর ও আগামী বছর দুটি টেস্ট ফ্লাইট উৎক্ষেপণের কথা। বেঙ্গালুরুস্থিত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রথম টেস্ট ফ্লাইট পাঠানোর কথা ছিল। দ্বিতীয় টেস্ট ফ্লাইটের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাই।
কিন্তু, করোনা-উত্তর বিশ্বে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। লকডাউনের প্রভাব পড়েছে মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও। অনেক কাজ থমকে গিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তা এখন শেষ করা সম্ভব নয়। ফলত, ডেডলাইন বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ইসোরর কাছে।
যদিও, ইসরোর বিজ্ঞানীরা এখনও হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁরা মানতে চাইছেন না যে টেস্ট ফ্লাইট পিছিয়ে যাবেই। এক আধিকারিক বলেন, লকডাউনের ফলে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে এটা সত্যি। তবে এখনও হাতে ৬ মাসের মতো সময় রয়েছে। এই সময় একটু বেশি পরিশ্রম করে কাজটা সম্পূর্ণ করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, প্রথম টেস্ট ফ্লাইটে মানব-সদৃশ রোবট 'বিয়োমিত্র'-কে পাঠানোর কথা। ১০ হাজার কোটির গগনযানকে ২০২২ সালে উৎক্ষেপণ করার কথা ভারতের। ওই বছরই স্বাধীন ভারতের ৭৫তম বর্ষপূর্তি। ভারতীয় বায়ুসেনার চার পাইলটকে গগনযান প্রজেক্টের জন্য বাছাই করা হয়েছে। বর্তমানে রাশিয়ার মস্কোতে তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে। যদিও, সূত্রের খবর, করোনার জন্য সেটাও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।