পয়সা নেই, অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ডেলিভারিম্যানের গলা কেটে খুন, স্মার্টফোন হাতিয়ে গ্রেফতার!
বেঙ্গালুরু: পকেটে টাকা নেই, কিন্তু একটা স্মার্ট ফোন যে চাই-ই! লোভ সংবরণ করতে পারেনি ২২ বছরের বরুণ কুমার। ছক কষে ফ্লিপকার্টে অর্ডার দিয়ে ডেলিভারিম্যানকেই খুন করে তার জন্য নিয়ে আসা স্মার্টফোনটি হাতিয়ে নেয় সে! এ ঘটনা ঘটেছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে।
পুলিশ জানিয়েছে, অনলাইনে স্মার্টফোনের অর্ডার দেয় বরুণ। ঠিকানা দেয় নিজের জিমের, যেখানে সে ট্রেনার। গত ৯ ডিসেম্বর ডেলিভারিম্যান নানজুদাস্বামী স্মার্টফোন ডেলিভারি দিতে বরুণের জিমে যান। সেখানকার ট্রেনার সে। কিন্তু টাকার বদলে সে ডেলিভারিম্যানের জন্য অপেক্ষা করছিল রান্নাঘরে ব্যবহারের ছোরা নিয়ে। তাঁকে নির্জন স্থানে টেনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মাথায় লোহার রড, ফুলের টব দিয়ে আঘাত করে সে। তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলে ছোরা দিয়ে তাঁর গলা কেটে নেয় বরুণ। বেশ কয়েক ঘণ্টা ডেলিভারিম্যানের দেহটি জিমে লুকিয়ে রাখে সে। জিমের বাকি সবাই চলে গেলে দেহটি বেসমেন্ট সেলারে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে দেহটি লুকিয়ে রেখে ডেলিভারিম্যানের ব্যাগ থেকে নিজের অর্ডার দেওয়া ১২ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোনের পাশাপাশি আরও দামি একটি ফোন, কিছু নগদ টাকা সরিয়ে ফেলে সে।
এদিকে নানজুদাস্বামী বাড়ি না ফেরায় দু দিন বাদে তাঁর পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করে। তল্লাশিতে নেমে খোঁজখবর করতে করতে বরুণের জিমে আসে পুলিশ। সেলার থেকে উদ্ধার হয় নানজুদাস্বামীর দেহ। খুনের পর থেকে জিম বন্ধ রেখেছিল বরুণ। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে, গ্রেফতার হয় সে। এ ঘটনায় তাকে কেউ সহায়তা করেছিল কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ফ্লিপকার্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নানজুদাস্বামী একটি এজেন্সিতে কাজ করতেন, যারা তাঁদের হয়ে মালপত্র খদ্দেরকে ডেলিভারি দেয়। নানজুদাস্বামীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।