১০০টির মধ্যে ৯৪ সিসিটিভি বিকল! বিধানসভায় বিস্ফোরককাণ্ডে তদন্ত শুরু এনআইএ-র
লখনউ: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার মধ্যে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতেই লখনউ পৌঁছে যায় এনআইএ টিম। রাতেই তাঁদের পুরো ঘটনার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হয়। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি বিধানসভার সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, অধিবেশন চলাকালীন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় নাশকতা হামলা হতে পারে বলে গত মে মাসেই গোয়েন্দা রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন, নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হল না, এদিন এনআইএ সেই প্রশ্ন করে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের।
পুলিশের পাশাপাশি, বিধানসভা কক্ষের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্শাল সহ নিরাপত্তা আধিকারিকদের ও জ্যানিটরদের জিজ্ঞাসাবাদও করেন এনআইএ কর্তারা। তদন্তে নেমে এনআইএ-র হাতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। জানা গিয়েছে, বিধানসভার মোট ১০০টি সিসিটিভি বসানো রয়েছে। কিন্তু, এর মধ্যে ৯৪টিই বিকল হয়ে গিয়েছে!
এই প্রসঙ্গেও, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও বিধায়ক নিরাপত্তার নিয়মের ধার ধারেন না। সহযোগিতাও করেন না। এমনকী, নিরাপত্তা প্রক্রিয়া অনুযায়ী, তাঁদের স্ক্যান করা হলে তুমুল হই-হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক উদ্ধারের ২৪-ঘণ্টার মধ্যে ফের একটি সন্দেহজনক প্যাকেট উদ্ধার হয় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫০ গ্রাম ওজনের একটি মুখবন্ধ প্যাকেটর মধ্যে পাউডার উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
রাজ্য পুলিশের এটিএস জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে প্যাকেটে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ছিল। যা সাধারণত, প্যাকিংয়ে ড্রায়িং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাউডারটিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার, বিধায়কদের চেয়ার নীচ থেকে ১৫০ গ্রাম পিইটিএন বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এরপরই বিধানসভায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের সুপারিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।