Nepal Political Crisis: নেপালের সংসদে আস্থা প্রস্তাবে হার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির
২৭৫ সদস্য বিশিষ্ট সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ওলির প্রয়োজন ছিল ১৩৬ সদস্যের সমর্থন।
কাঠমাণ্ডু: নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে আস্থা ভোটে হেরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ২৭৫ সদস্য বিশিষ্ট সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ওলির প্রয়োজন ছিল ১৩৬ সদস্যের সমর্থন।
প্রতিনিধি সভায় আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কেপি শর্মা ওলি। তিনি সমস্ত সদস্যকেই এই প্রস্তাব সমর্থনের আবেদন জানান। উল্লেখ্য, পুষ্প কুমার দহল (প্রচণ্ড)-র নেতৃত্বাধীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) সমর্থন প্রত্যাহার করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ওপি আলির সরকার। এজন্য তাঁকে সংসদের নিম্নকক্ষে আস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করতে হয়।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির নির্দেশ সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। বিশেষ অধিবেশনে সংসদের নিম্নকক্ষে ৯৩ ভোট ওলির সমর্থনে পড়ে। ২৭৫ সদস্যের সভায় ওলির ১৩৬ জনের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। কারণ, চার সদস্য সাসপেনশনে রয়েছেন। আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী ওলির বিরুদ্ধে ১২৪ সদস্য ভোট দেন। প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী সমর্থন প্রত্যাহার করায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল কেপি শর্মা ওলির সরকার।
গত বছর নেপালে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারির কাছে সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের সুপারিশ করেছিলেন। শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে ক্ষমতার টানাপোড়েনের জেরেই এই সুপারিশ করেছিলেন ওলি।
২০১৫-র সেপ্টেম্বরে নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর এই প্রথম কোনও সরকার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হল এবং সেই প্রস্তাব হারল। ওলি এরপর প্রেসিডেন্টের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন এবং ভাণ্ডারি এরপর সংসদকে নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখতে বলবেন।
এদিন আস্থা প্রস্তাব পেশ করে ওলি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও দেশ গঠনের লক্ষ্যে তাঁর সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এরপরও এই আস্থা প্রস্তাব পেশ করাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর সরকার সংকীর্ণ ও পক্ষপাতমূলক মানসিকতার শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংসদে আস্থা প্রস্তাবে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে ওলিকে। তিনি ৩৮ মাস সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। দলের বিদ্রোহী সদস্যরা দলের হুইপ অমান্য করেই ভোটদানে বিরত থাকেন। এর ফলে ওই সদস্যদের সদস্যপদও খারিজ হয়ে যেতে পারে।