New Delhi Station Stampede: বার বার প্ল্যাটফর্ম বদল, মহাকুম্ভ যেতে গিয়ে দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
Maha Kumbh Rush Leads to Stampede: শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান পুণ্যার্থীরা।

নয়াদিল্লি: মহাকুম্ভের পথে বিপর্যয়। নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১৮ পুণ্যার্থীর। পদপিষ্ট হয়ে ১০ মহিলা, ৩ শিশু-সহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় এবার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করল ভারতীয় রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহত যাঁরা, তাঁদের মাথাপিছু ২.৫ লক্ষ করে দেবে রেল। পাশাপাশি, অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন যাঁরা, তাঁরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা করে। পাশাপাশি, বিহার থেকে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। (New Delhi Station Stampede)
শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান পুণ্যার্থীরা। প্রথমে সরকার পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে। ঘটনাস্থল থেকে পর পর ছবি, ভিডিও, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সামনে আসার পরই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মেনে নেয় কেন্দ্র। এর পর রবিবার সকালে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে রেল। (Maha Kumbh Rush Leads to Stampede)
শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের জন্য স্টেশনে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু যে দু’য়টি স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল, সেগুলি দেরিতে এসে পৌঁছয়। শুধু তাই নয়, শেষ মুহূর্তে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মও বদল করা হয়। আর তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ১২, ১৩, ১৪ এবং ১৬ নং প্ল্যাটফর্মে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। লাইন টপকেও দৌড়তে শুরু করেন অনেকে। এমনকি এসক্যালেটরেও কাপড়ের টুকরো, জুতো, চটির স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায় প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস। স্বতন্ত্র সেনানী ও ভুবনেশ্বর রাজধানী লেট থাকায় স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ে। সবথেকে বেশি ভিড় ছিল ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। বার বার প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণা, হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ।
শুধু তাই নয়, প্ল্যাটফর্মে, ট্রেনে উপচে পড়া বিড় সত্ত্বেও দেদার জেনারেল টিকিট বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে রেলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ১৫০০-এর বেশি জেনারেল টিকিট বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। টিকিট কনফার্ম না হলেও ট্রেনের উঠে পড়তে বলা হয়। যাঁরা সংরক্ষিত আসনে টিকিট বুক করেছিলেন, তাঁরা ট্রেনে উঠতেই পারেননি। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
