Noida Dowry Incident: নয়ডার তরুণী নিক্কিকে পণের জন্য জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে অনেক দ্বন্দ্ব !
Nikki Bhati Dowry Murder Case: এবারের দাবি ছিল ৩৬ লক্ষ টাকার। পণের দাবি মেটাতে পারেননি নিক্কির পরিবার। তার জেরেই তরুণীকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Noida Dowry Incident: নয়ডায় ঘটে গিয়েছে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। পণের দাবিতে এক তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। তবে তরুণীর শেষকৃত্যের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, উপস্থিত রয়েছেন মৃতার শ্বশুর এবং শ্বশুরবাড়ির আরও কয়েকজন। শুধু তাই নয়, শেষকৃত্যের আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গিয়েছে তরুণীর শ্বশুরকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তরুণীর শেষকৃত্য হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃতার পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মৃতার বর, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, মৃতা তরুণী নিক্কির দিদি কাঞ্চনেরও বিয়ে হয়েছিল একই বাড়িতে, নিক্কির ভাসুরের সঙ্গে।
এদিকে নিক্কির বৌদি মীনাক্ষী আবার অভিযোগ করেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ি, অর্থাৎ নিক্কির মা-বাবার বিরুদ্ধে। মীনাক্ষীর অভিযোগ, পণের দাবি মেটাতে না পারায় তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সত্যবীর সিং, যিনি নিক্কির শ্বশুর এবং ইতিমধ্যিএ গ্রেফতার হয়েছেন, তিনিই মীনাক্ষীর বাবাকে আশ্বাস দেন। সত্যবীর, নিক্কির বাবা ভিখারি সিং পায়লাকে এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন একাধিকবার। এমনকি মীনাক্ষীর বিয়েতে যে টাকা খরচ হয়েছে, তাও ফেরত দেওয়ার কথা নিক্কির বাবাকে বলেছিলেন সত্যবীর সিং। নিক্কির মৃত্যুর জন্য যাঁদের দায়ী করা হচ্ছে, তাঁদেরই একজন উপস্থিত মৃতার শেষকৃত্যে, আবার নিক্কির পরিবারের বিরুদ্ধেও পণের জন্য অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠার ফলে, নয়ডার এই ঘটনা নিয়ে অনেক সংশয় তৈরি হচ্ছে।
এর আগে নিক্কির বাবাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মেয়ে অত্যাচারিত হয় জেনেও কেন টাকা দিতেন তাঁরা?
এই প্রসঙ্গে নিক্কির বাবা বলেন, তাঁদের সমাজ এবং বংশের কথা শুনে চলতে হয়। তাঁদের মধ্যে এভাবেই মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে যৌতুক দিয়েই বিয়েই হয়। এমনকি নিক্কির এক কাকাও বলেন, পরিবারে শান্তি বজায় রাখার জন্যই টাকা দিতেন তাঁরা। একবার নিক্কিকে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসা হলেও, তাঁকে ফেরত পাঠানোর তোড়জোড় করেন তাঁরই বাপের বাড়ির লোকজন।
বর বেকার ছিল। তবে স্বনির্ভর হতে চেয়েছিলেন নিক্কি। একই মত ছিল তাঁর দিদি কাঞ্চনেরও। দুই বোন মিলে বিউটি পার্লার খুলেছিলেন। শুরু করেছিলেন বুটিকের ব্যবসাও। আর তার প্রচারের জন্য ইনস্টাগ্রামে রিলসও পোস্ট করতেন নিক্কি এবং কাঞ্চন। তবে এই নিয়ে আপত্তি ছিল নিক্কির স্বামী বিপিনের। বাধা দিত সে। তার দাবি ছিল একটাই। শ্বশুরবাড়ি থেকে আরও টাকা নিয়ে আসতে হবে নিক্কিকে। এবারের দাবি ছিল ৩৬ লক্ষ টাকার। পণের দাবি মেটাতে পারেননি নিক্কির পরিবার। তার জেরেই তরুণীকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।























