Suvendu Adhikari : "রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ নেই", সাংবাদিক বৈঠকে সরব শুভেন্দু
বাংলার উদ্বেজনজনক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই রাজ্যপালেপ ভাষণে। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা : রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ নেই। বাংলার উদ্বেজনজনক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই। বাংলায় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যপালকে যে ভাষণ লেখা দেওয়া হয়েছে, আমরা তার তীব্র বিরোধী। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজ রাজ্যপাল দুপুর ১ টা ৪৮ মিনিট নাগাদ বিধানসভায় আসেন। তার পর আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। নিয়মমতো রাজ্যপালকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর বিধানসভায় ঢুকে রাজ্য সরকারের বক্তব্য পাঠ করতে শুরু করেন রাজ্যপাল।
এই সময়ই বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধী শিবির। বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, ভাষণে যে বক্তব্য রয়েছে তাতে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার কোনও উল্লেখ নেই। এমনকী যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব নিয়েও তাঁরা আপত্তি জানান। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতে ৪ মিনিটের মাথায় বক্তব্য থামিয়ে দিতে বাধ্য হন রাজ্যপাল । তিনি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন। তার আগে ভাষণের বাকি অংশটুকু না পড়া সত্ত্বেও বাজেট যাতে অনুমোদন হয়, সেই অনুরোধ করে আসেন। প্রথা মেনে তাঁকে বিদায় জানাতে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু। তিনি বলেন, ভাষণে যে বক্তৃতা রাজ্য সরকার লিখে দিয়েছে তাতে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। এমনকী উল্টে বলা আছে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে প্রচার করা হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা। নির্বাচন কমিশন থাকাকালীন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ভাষণে পশ্চিমবঙ্গে স্বৈরতন্ত্র শাসন প্রতিষ্ঠা করার যে উদ্যোগ সেই ধরনের কথাবার্তা বলা আছে। আমরা আমাদের ব্যথা, বেদনা, অত্যাচারের কথা স্লোগানের মধ্যে বিধানসভায় তুলে ধরেছি।