Operation Sindoor: 'ওরা যা করেছিল তা পশুও করে না, ওদের মরে যাওয়া উচিত', পহেলগাঁওয়ের ক্ষত এখনও স্পষ্ট জেনিফারের জীবনে
Pahalgam Incident: খ্রিস্টান হয়েও মেলেনি রেহাই। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছিল ইন্দোরের সুশীল নাথানিয়েলকে। জঙ্গিদের মৃত্যু চাইছেন নিহতের স্ত্রী।

Operation Sindoor: খ্রিস্টান হয়েও মেলেনি রেহাই। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছিল ইন্দোরের সুশীল নাথানিয়েলকে। ২২ এপ্রিল বৈসারন উপত্যকায় আরও অনেকের মতোই 'কলমা' পড়তে পারেননি তিনি। আর তাই স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সামনেই সুশীলকে নিকেষ করে দেয় জঙ্গিরা। তবে অবশেষে পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। মধ্যরাতের এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের। 'অপারেশন সিঁদুর' সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা। ভারতের স্থল-নৌ-বায়ু, তিন সেনাবাহিনী একত্রে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে। ২৫ মিনিটের অভিযানে ২৪টি মিসাইল অ্যাটাক হয়েছে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, অন্তত ৭০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের প্রত্যাঘাতের পর সাময়িক স্বস্তি পেলেও আরও কড়া পদক্ষেপ চান নিহত সুশীল নাথানিয়েলের স্ত্রী জেনিফার। তিনি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা অপরাধ করেছিল কোনওরকম ভয়ডর ছাড়াও। তাদেরও একই ভাবে শাস্তি দেওয়া উচিত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনিফার বলেছেন, 'ওই চারটে লোক যা করেছে তা পশুও করে না। ওই লোকগুলিরও একইভাবে শাস্তি পাওয়া উচিত। ওই চারটে লোকেরও মরে যাওয়া উচিত।' স্বামীকে হারিয়ে স্বভাবতই এখনও শোকগ্রস্ত জেনিফার। সেই সঙ্গে রয়েছে চূড়ান্ত ক্ষোভও।
প্রায় পালিয়েই গিয়েছিলেন। তবে একটুর জন্য শেষ রক্ষা হল না। জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়ে যান ইন্দোরের নাথানিয়েল দম্পতি। তারপর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব শেষ। জেনিফারের সামনেই তাঁর স্বামী সুশীল নাথানিয়েলকে শেষ করে দেয় জঙ্গিরা। 'কলমা' পড়তে বলা হয়েছিল সুশীলকে। ইন্দোরের বাসিন্দা জানিয়েছিলেন, তিনি খ্রিস্টান। 'কলমা' পড়তে জানেন না। তারপরই চরম পরিণতি হয় সুশীলের। হিন্দু না হয়েও পার পাননি তিনি। সুশীল নাথানিয়েলের বুকে গুলি করে জঙ্গিরা। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় ঠিক কী বিভীষিকাময় ঘটনা ঘটেছিল, তাই-ই জানিয়েছিলেন জেনিফার। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন পর্যটক এবং এক স্থানীয় টাট্টু ঘোড়াওয়ালার।
এলআইসি- র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন সুশীল নাথানিয়েল। স্ত্রী জেনিফার, কন্যা আকাঙ্খা এবং ছেলে অস্টিনকে নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই সব শেষ হয়ে গেল। বেড়াতে যাওয়া, ছুটি কাটানোর আনন্দ মুহূর্তে নিরানন্দে পরিণত হল নাথানিয়েল পরিবারের জীবনে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় বেড়াতে যাওয়াই কাল হল তাঁদের।






















