Pahalgam News : 'ইনশাল্লাহ গুলির বৃষ্টিতে আমরা তোমাদের গলা কেটে...'লস্কর কমান্ডারের হুমকির পরই পহেলগাঁও-হত্যা
পাক মাটিতে বসে জঙ্গিনেতাদের ভারতের উদ্দেশে ঘৃণাবর্ষণ, হুমকি, প্রধানমন্ত্রীর নাম করে হুঁশিয়ারি। তাই প্রশ্ন একটাই পাকিস্তান সেনাকে নির্মূল না করলে কি সন্ত্রাসবাদের পূর্ণ রূপে উৎখাত করা সম্ভব?

নয়াদিল্লি : পহেলগাঁও হামলার কয়েকদিন আগে পাক সেনাপ্রধানের এক উস্কানিমূলক মন্তব্য় ঝড় তুলেছিল সমালোচনার। আসিম মুনির হুঙ্কার দিয়েছিলেন, কাশ্মীর আমাদের গলার শিরা ছিল এবং আছে। এরপর, এখন সামনে এল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার স্বীকারোক্তি ! সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্কাই নিউজ়’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে খোয়াজা আসিফ কার্যত স্বীকার করে নেন গত তিন দশক ধরে জঙ্গিদের সমর্থন এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইসলামাবাদ। বলেন, ' আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমি বিশ্বের জন্য আমরা গত তিন দশক ধরে এই নোংরা কাজ করে যাচ্ছি'।
এরকম একাধিক ঘটনায় জলের মতো স্পষ্ট হয়েছে, হামলায় পাকিস্তানের যোগ থাকার তত্ত্ব। এরইমধ্যে পাক সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কমান্ডো মুসার সরাসরি পহেলগাঁও হত্য়ালীলায় জড়িত থাকার প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে চলে এসেছে। এভাবেই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি যোগ। মদত যদি নাই থাকবে, তাহলে কীভাবে, পাকিস্তানে বসে জঙ্গিনেতারা ভারতকে হুমকি দিয়ে যান? পহেলগাঁও এর ঘটনার পর বারবার মনে করাচ্ছে সাম্প্রতিক অতীতে পাক মাটিতে বসে জঙ্গিনেতাদের ভারতের উদ্দেশে ঘৃণাবর্ষণ, হুমকি, প্রধানমন্ত্রীর নাম করে হুঁশিয়ারি। তাই প্রশ্ন একটাই পাকিস্তান সেনাকে নির্মূল না করলে কি সন্ত্রাসবাদের পূর্ণ রূপে উৎখাত করা সম্ভব?
পহেলগাঁও হামলার নেপথ্য়ে শুধু পাকিস্তানি সেনা নয় পাকিস্তানের মাটিতে বসে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলির নেতাদের যোগও বারবার স্পষ্ট হয়ে যায়। যেমন হালআমলেই পহেলগাঁও হামলার অন্যতম চক্রী ও লস্করের ডেপুটি চিফ সইফুল্লা খালিদ হুমকি দিয়েছিল, 'আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ কাশ্মীর 'পবিত্র ভূমি' হবে। আগামী দিনে মুজাহিদ্দিন হামলার তীব্রতা আরও বাড়াবে এবং কাশ্মীর স্বাধীন হবে।'
লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার আবু মুসা বলেছিল, 'মোদি বলেছিল যে, যাও আর শ্রীনগরে বসতি গড়ে তোলো...মুজাহিদিন কাশ্মীরে...সিয়া মুস্তাফারা... এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করল আর বলল, মোদি তুমি রুদ্ধ কক্ষে আদেশ পাস করিয়েছ। কাগজ তোমার ছিল, বিচারক তোমার ছিল কিন্তু নেতা মুজাহিদের। করে তো দেখ, ইনশাল্লাহ গুলির বৃষ্টিতে আমরা তোমাদের গলা কেটে শহিদদের আত্মত্যাগের জবাব দেব'
আর তারপরই ২২ তারিখের ঘৃণ্য হামলা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতে সেনার ৩ বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে NSG, BSF, CRPF, CISF, SSB ও আসাম রাইফেলসের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব।






















