গোটা স্কুলে একজনই দিদিমণি! তাঁকেই বদলির সিদ্ধান্ত, অভিভাবক, পড়ুয়াদের হাতে ঘেরাও প্রধান শিক্ষক
ঘটনা মালদার চাঁচলের কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়ার মোট সংখ্যা তিনশো। অথচ বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার জন্য এতদিন ছিলেন প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা।
চাঁচল: শিক্ষিকার বদলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মালদার চাঁচলে। প্রধান শিক্ষককে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা। একজন শিক্ষক দিয়ে পঠনপাঠন সম্ভব নয় বলে দাবি তাঁদের। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে তারা। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
ঘটনা মালদার চাঁচলের কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়ার মোট সংখ্যা তিনশো। অথচ বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার জন্য এতদিন ছিলেন প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা। তার উপরে বদলি করা হয়েছে এক শিক্ষিকা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ অভিভাবক সহ পড়ুয়ারা। অন্য স্কুলে শিক্ষিকা বদলির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা।
করোনাকালে প্রায় ৯ মাস বন্ধ ক্লাস। এরপর ক্লাস চালু হলে কীভাবে প্রধান শিক্ষক একা সামলাবেন সব কিছু? এই প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। সঙ্গে ছিল পড়ুয়ারাও। কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ভিক্টর কুণ্ডু বলেন, আমার কিছু করার নেই, তাঁরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।
তিন-চারটে গ্রামের একমাত্র ভরসা এই স্কুল। অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষিকার ট্রান্সফার অর্ডার বাতিল করার। এক পড়ুয়ার অভিভাবক বিপ্লব সর্দার বলেন, অর্ডার বাতিল না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। তবে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, সমস্যা সমাধানে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাসের কথায়, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।