Essential Medicines Price Hike: বেঁচে থাকা এখন আরও খরচসাপেক্ষ, পেনকিলার থেকে ক্যান্সারের ওষুধ, রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি
Drugs Price Hike: সম্প্রতি ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি-র বৈঠকে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নয়াদিল্লি: এপ্রিলের শুরুতেই দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী ওষুধপত্রের (Essential Medicines Price Hike)। শুধু দাম বাড়ছে বললে ভুল হবে, রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১২.১২ শতাংশ হারে নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ সুস্থ, সবল ভাবে বেঁচে থাকতে আরও গাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে সাধারণ মানুষকে (Drugs Price Hike)।
প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী ওষুধপত্রের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে
সম্প্রতি ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি-র বৈঠকে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যে নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী ওষুধপত্রের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সেগুলি ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডারের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পড়ে। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের মূদ্রাস্ফীতি এবং তার জেরে খুচরো বাজারের সূচকের পরিবর্তনের নিরিখেই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে খবর।
সবমিলিয়ে ৩৮৪টি নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির ১ হাজারের বেশি মিশ্র উপাদানের মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। যে সমস্ত ওষুধের দাম বাড়ছে, তার মধ্যে রয়েছে পেনকিলার্স, অ্যান্টি ইনফেকশন ওষুধ, কার্ডিয়াক ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক্স। ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনশিয়াল মেডিসিন্স-এর নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় জ্বর, ডায়বিটিস, ব্লাড ডিসঅর্ডার, যক্ষ্মা, হাইপারটেনশন, ত্বক, ক্যান্সার, অ্যানিমিয়াও পড়ে। অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে এই সব রোগের ওষুধও মহার্ঘ হয়ে উঠবে আরও।
আরও পড়ুন: UPI Payment Charge: UPI লেনদেনে দিতে হবে টাকা ? খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই জানাল NPCI
১২.১২ শতাংশ হারে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, এখনও পর্যন্ত দেশে সর্বাধিক। মূল্যবৃদ্ধির সপক্ষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, "বাজারে ওষুধের জোগানে যাতে ঘাটতি না দেখা দেয়, তার জন্যই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। এতে ওষুধ উৎপাদনকারী এবং গ্রাহক, দুই পক্ষই উপকৃত হবেন। উৎপাদনকারীরা তো আর নিজেদের ক্ষতি করে ওষুধ তৈরি করবেন না! তাই দেশে ওষুধের জোগানে যাতে ঘাটতি দেখা না দেয়, তার জন্যই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত ভাবেই ওষুধের দাম বাড়ানো হবে।"
পর পর দুই বছর ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি হল
কিন্তু ১২.১২ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার গঠিত হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে পর পর দুই বছর ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির হার দুই সংখ্যার ঘরে রইল। বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে এত দিন ১০ শতাংশের বেশি নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমতি ছিল না। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির হার এ বার সেই মাপকাঠি ছাপিয়ে গেল।