Priyanka Gandhi Vadra: প্রিয়ঙ্কার সাংসদ পদ খারিজের দাবি, আদালতে গেলেন বিজেপি নেত্রী
Priyanka Gandhi MP Post: বিজেপি নেতা নব্য হরিদাস প্রিয়ঙ্কার সাংসদপদ খারিজের দাবি জানিয়ে আদালতে গিয়েছেন।

নয়াদিল্লি: প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার সাংসদ পদ খারিজে দাবি জানিয়ে আদালতে বিজেপি নেত্রী। তাঁর দাবি, নির্বাচনী হলফনামায় নিজের সম্পত্তির সঠিক খতিয়ান দেননি প্রিয়ঙ্কা। নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। কমিশনকে ভুল তথ্য দিয়্ছেন। তাই প্রিয়ঙ্কার সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন। (Priyanka Gandhi Vadra)
বিজেপি নেত্রী নব্যা হরিদাস প্রিয়ঙ্কার সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে আদালতে গিয়েছেন। শুক্রবার কেরল হাইকোর্টে সেই নিয়ে মামলা করেছেন তিনি। লোকসভা উপনির্বাচনে কেরলের ওয়েনাড আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এবারই প্রথম লোকসভায় প্রবেশ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সেই উপনির্বাচনে প্রিয়ঙ্কার অংশ নেওয়ার পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন হরিদাস। (Priyanka Gandhi MP Post)
বিজেপি নেত্রী হরিদাস জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে এর আগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যেভাবে বিষয়টি দেখা উচিত ছিল, তা হয়নি বলে দাবি তাঁর।
#WATCH | Kozhikode, Kerala: BJP leader Navya Haridas says, "We have filed an election petition yesterday in the High Court against Congress MP Priyanka Gandhi Vadra. It clearly states that the nomination papers were misleading and many important things were hidden from the… pic.twitter.com/RUc5AKcDKp
— ANI (@ANI) December 22, 2024
গত ১৩ নভেম্বর ওয়েনাডে উপনির্বাচন হয়। ৬ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি ভোটে সেখানে জয়ী হন প্রিয়ঙ্কা। সিপিআই প্রার্থী সত্যেন মোকেরিকে পরাজিত করেন প্রিয়ঙ্কা। হরিদাস বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন ওয়েনাডে। তিনি তৃতীয় স্থান পান। সেই হরিদাসই এবার প্রিয়ঙ্কার সাংসদ পদকে চ্যালেঞ্জ জানালেন। তাঁর দাবি, পরিবার এবং নিজের সম্পত্তি নিয়ে কমিশনকে ভুল তথ্য দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
শুধু তাই নয়, হরিদাসের দাবি, ভোটারদের প্রভাবিত করতে অন্যায় প্রভাব খাটিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ লঙ্ঘন করেছেন। জানুয়ারি মাসে হরিদাসের দায়ের করা মামলার শুনানি হতে পারে কেরল হাইকোর্টে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি রয়েছে। তার পরই খুলবে আদালত।
হরিদাসের আইনজীবী হরিকুমার জি নায়ার জানিয়েছেন, প্রিয়ঙ্কার নির্বাচন খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। আইনজীবীর দাবি, নিজের এবং পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। ভোচারদের অন্ধকারে রেখেছেন, বিভ্রান্ত করেছেন। অভিযোগ, ভুল তথ্য দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি জানান, সস্তায় প্রচারে আসার চেষ্টা হচ্ছে। আদালত বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে না বলে আশাবাদী তিনি। মানিকম ঠাকুরের মতে, বিজেপি আদালতে যেতেই পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যেরই জয় হবে। কংগ্রেস সত্যের পক্ষে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনী হলনামায় প্রিয়ঙ্কা জানান, তাঁর ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে, অস্থাবর সম্পত্তি ৪.২৪ কোটির, স্থাবর সম্পত্তি ৭.৭৪ কোটির। সোনা রয়েছে ১.১৫ কোটি টাকার। দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন প্রিয়ঙ্কা। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ সাডারল্যান্ড থেকে, দূরশিক্ষা মাধ্যমে। প্রিয়ঙ্কার মাথার উপর ১৫.৭৫ কোটির ঋণ রয়েছে। প্রিয়ঙ্কা আরও জানান, স্বামী রবার্ট বঢরার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭.৯ কোটি, স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৭.৬৪ কোটি টাকা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
