দীর্ঘ সময় ধরে বায়ুদূষণ দ্বিগুণ হারে ঘ্রাণ শক্তি হ্রাসের কারণ, বলছে গবেষণা
এমনটাই বলছে গবেষণা
নয়াদিল্লি: দীর্ঘ সময় দরে বায়ুদূষণের জেরে ঘ্রাণ শক্তি চলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, দ্বিগুণ হারে হ্রাস হতে পারে ঘ্রাণ শক্তি। এমনটাই বলছে গবেষণা। গন্ধ না পাওয়ার অর্থ অ্যানসোমিয়া। যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, বাতাসে ধূলিকণা সহ দূষণের জেরে ঘ্রাণ শক্তির উপরই প্রভাব ফেলে না পাশাপাশি স্বাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করে। করোনার অন্যতম উপসর্গ স্বাদ এবং গন্ধ না পাওয়া। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ঘ্রাণ শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর আগে গবেষণা বলেছিল, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫ অ্যানসোমিয়ার কারণ। এবার নয়া গবেষণার তথ্য সামনে আনল বিশ্ববিদ্যালয়। তারা জানিয়েছে, কত দিন বাতাস দূষিত থাকলে ঘ্রাণ শক্তি বা স্বাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। দ্বিগুণ হারে হ্রাস হতে পারে ঘ্রাণ শক্তি।
বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫ থাকলে আগের তুলনায় দ্বিগুণ হারে হ্রাস পারে ঘ্রাণ শক্তি এবং স্বাদ সংক্রান্ত সমস্যা। ঘ্রাণকোষের নার্ভের অবস্থানের কারণে এই সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবেদনশীল নার্ভ ফাইবারের কারণে শরীরে দূষিত বায়ু ঢোকার পথ প্রশস্ত হয়।
ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক তথা চিকিৎসক মুরুগাপ্পান রমানাথন বলছেন, এই ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা অনুভব করি যে পিএম ২.৫ বা দূষিত বায়ু দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা ঘ্রাণ শক্তির হ্রাসের অন্যতম কারণ। বিশেষত এই সমস্যায় বেশি ভোগেন বয়স্করা। তবে বায়ুদূষণের উত্সগুলি আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
জানা গিয়েছে এই গবেষণার জন্য, ১৮ বছর সহ তার বেশি বয়সী ২ হাজার ৬৯০ জনকে বেছে নেওয়া হয়। যাঁরা ২০১৩ থেকে ২০১৬ অটোলারিঙ্গোলজিসিস্টের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে ৫৩৮ জন অ্যানোসমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। যাঁদের গড় বয়স ৫৪ বছর। এদের মধ্যে ৩৩৯ জন পুরুষ ছিল। উল্লেখ্য বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫ জেরে কার্ডিওভ্যাসকুলার ডিজিজ, ফুসফুসে ক্যানসার, পালমোনারির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক রোগ হয়। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।