Srijit on Noboborsho: 'নববর্ষ মানেই দুপুরে বাঙালি খাওয়ার এলাহি আয়োজন'
নববর্ষের দুপুরে বাড়িতে রান্নার আয়োজন হত। সৃজিত বলছেন, 'নববর্ষের দুপুরে বাড়িতে একটা খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হত। ২ থেকে তিন রকমের মাছ, মাংস একেবারে বাঙালি আয়োজন।
কলকাতা: নববর্ষের স্মৃতির চেয়ে তাঁর বেশি মনে পড়ে ইংরাজী নতুন বছর উদযাপনের ছবিটা। তবে আদতে তিনি বাঙালি, কাজেই একটুও বাঙালি খাওয়া ছাড়া কী আর নববর্ষ কাটে? বাড়িতে আয়োজন করা হত হরেক বাঙালি পদের। নববর্ষের আগে এবিপি লাইভের সঙ্গে ছোটবেলার নববর্ষের স্মৃতি ভাগ করে নিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)।
সৃজিতের নববর্ষ
নববর্ষের দুপুরে বাড়িতে রান্নার আয়োজন হত। সৃজিত বলছেন, 'নববর্ষের দুপুরে বাড়িতে একটা খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হত। ২ থেকে তিন রকমের মাছ, মাংস একেবারে বাঙালি আয়োজন। সেটা একরকম নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। এখনও সুযোগ পেলেই নববর্ষে বাঙালি খাবারের আয়োজন করি। এছাড়া তেমন বিশেষ কিছু হত না ওই দিনটায়। বড় হওয়ার পরেও নিয়মটা একই রয়ে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন: 'বাংলায় প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা না বাড়লে শো পাওয়া নিয়ে প্রতিযোগীতা চলবেই'
নতুন ছবি ও সৃজিত
সামনেই মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন বাংলা ছবি 'X=প্রেম'। খিলাৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়ী চৌধুরী, অর্ণব দত্ত ও অদিতি দত্তের জীবনের ওঠাপড়ার গল্পই বলবে সৃজিতের নতুন ছবি। মুখ্য দুটি ভূমিকায় অভিনয় করছেন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও শ্রুতি দাস। এছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন মধুরিমা বসাক ও অর্জুন চক্রবর্তী। ছবির সুরের দায়িত্বেরও সিংহভাগ অংশে রয়েছে নতুনরা। সৃজিতের মতে, কলেজ প্রেমের গল্প বলতে নতুন মুখেদেরই দরকার ছিল। যাঁরা বহুদিন আগে কলেজ জীবন পেরিয়ে এসেছেন, এই চিত্রনাট্যে তাঁদের কাস্ট করলে মানাত না। তাঁর থেকে নতুন মুখেরা দর্শকদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবেন বলেই আশা সৃজিতের। তাঁর কথায়, 'আমার ছবি নতুনদের কাছ থেকে যৌবন শুষে নিয়ে চিরনতুন থাকে।'
কেবল বাংলা নয়, বলিউডেও ছবি পরিচালনা করছেন সৃজিত। হিন্দির সঙ্গে বাংলা ছবি টক্কর দিতে পারবে? এবিপি লাইভকে সৃজিত বলছেন, 'বাংলা ছবির সঙ্গে কোনও লড়াই নেই। কারণ লড়াই হয় সমানে সমানে। বাংলা ছবি বাজেট, প্রযুক্তি সবদিক থেকেই অনেক পিছিয়ে। আমাদের ব্যবসা, বিনিয়োগ যতদিন না বাড়ছে, যতদিন না প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়ছে, লড়াই শব্দটা ব্যবহারই করা উচিত নয়।