Barasat: বারাসতে দেড় বছর পরে নিখোঁজ বৃদ্ধা মাকে হাসপাতাল থেকে ফিরে পেল ছেলে
আয়েশা বিবি ২০১৯ সাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে তাঁকে খুঁজে পেল তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আয়েশা বিবি। এরপরই তাঁকে চিকিৎসার জন্য বারাসত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করিয়ে নেয়।
সমীরণ পাল, বারাসত: প্রতিবেশীকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। এরপর নিজেই অসুস্থ হয়ে যান। বারাসত সদর হাসপাতালেই এরপর থেকে ঠিকানা হয়ে গিয়েছিল আয়েশা বিবির। প্রায় দেড় বছর ধরে পরিবারের লোক তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজেও পাননি। কিন্তু এবার পরিবারের কাছে ফিরলেন আয়েশা বিবি।
২০১৯ সালের পয়লা নভেম্বর থেকে সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তারপর থেকে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি আয়েশা বিবি। আয়েশা বিবির পরিবারের লোকজন তার কোন খোঁজ না পেয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন হাসপাতাল হাসপাতালে। কিন্তু এরপরও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এর ভোজেরহাট এর বাসিন্দা আয়েশা বিবির পরিবারের সদস্যরা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিন্তু তার কোনও খোঁজ পাননি।
এদিকে ২০১৯ এর পয়লা নভেম্বর আয়েশা বিবি অসুস্থ হয়ে বারাসত সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপরে নিয়ম মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারাসাত থানায় বিষয়টি জানায় কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হলেও আয়েশা বিবির পরিবারের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। সেই থেকেই তিনি বারাসাত সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । সম্প্রতি ওই মহিলার গ্রামের অর্থাৎ ভোজেরহাট এর বাসিন্দা এক মহিলা বারাসত হাসপাতালে ভর্তি হন তাকে দেখে চিনতে পারেন তার প্রতিবেশী। ফিরে গিয়ে তিনি আয়েশার পরিবারের সদস্যদের জানান। এরপরই পরিবারের সদস্যরা বারাসত সদর হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপরই গতকাল বিকেল বেলা হাসপাতাল থেকে ছুটি করে নিয়ে যাওয়া হয় আয়েশা বিবিকে।
দেড় বছরের কাছাকাছি আয়েশা বিবি ঠিকানায় ছিল বারাসত সদর হাসপাতালে। তিনি হয়তো ভাবতেই পারিনি আর ফিরে যেতে পারবেন। বৃদ্ধ ছেলে জাকির বৈদ্য তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় তিনি তার মাকে ফিরে পেয়েছেন তাই তিনি হাসপাতালে কাছে কৃতজ্ঞ। বারাসত সদর হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডল জানিয়েছেন, 'এরকম অনেক রোগী ঠিকানা হারিয়ে হাসপাতালে থেকে যান প্রশাসনের সাহায্যে প্রথমে তাদের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা হয়, কিন্তু খোঁজ না পেলে তাদের বাধ্য হয়ে হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়।' ঘটনার আকস্মিকতায় আয়েশা বিবি স্মৃতি হারিয়েছিলেন। ভোজেরহাট গ্রামের নামটি শুধু বলতে পারতেন। কিন্তু সেই সূত্র ধরে তার বাড়ির হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে এক রোগীর আত্মীয় সাহায্যে তার পরিবারের খোঁজ মেলে । দেড় বছর বাদে মাকে ফিরে পেয়ে খুশি ছেলে জাকির ।