পাহাড়ে অতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে রাজ্যের দাবি খারিজ কেন্দ্রের
কলকাতা: মোর্চা দাবি করছে, পাহাড় থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা হোক। তৃণমূল সরকার বলছে, পাহাড়ে আরও বাহিনী দেওয়া হোক। এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকার জানিয়ে দিল, আপাতত পাহাড়ে আর কোনও বাহিনী নয়! এখন পাহাড়ে ১১ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন আছে। গত সপ্তাহে আরও ৪ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্র। শুধু বাহিনীর আর্জি খারিজ করাই নয়, রাজ্য যখন বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাহাড়ে আরও বাহিনী প্রয়োজন, তখন কেন্দ্র বলছে, আরও বাহিনী পাঠালে নাকি হিতে বিপরীত হবে! সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টকে ঢাল করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে জানিয়েছে, অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলে পাহাড়ের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই আর বাহিনী দেওয়া হচ্ছে না। এপ্রসঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, সব দিক ভেবে চিন্তেই বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য সরকার। গণতান্ত্রিক কাঠামো অনুযায়ী রাজ্যের দাবি মানা উচিত ছিল কেন্দ্রের। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ক’দিন আগে, পাহাড়ের অশান্তির নেপথ্যে সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ডিপ রুটেড কনস্পিরেসি। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলব এদের উৎসাহ দেবেন না। এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি এনেছিলেন জঙ্গিযোগের অভিযোগ! বলেছিলেন, উত্তর-পূর্বের জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। এরা রাজনৈতিক দল নয়। বিদেশি যোগ রয়েছে। পুলিশের কাছে তথ্য আছে। একদিনে এসব হয় না। একদিনে এত বোমা হয় না। বহুদিনের ষড়যন্ত্রের ফল। অনেক দিন ধরে অস্ত্র মজুত হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে যে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, অমিত শাহর হাসি থেকেই সেদিন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল! বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কটাক্ষ করেন, উনি সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখেন। এর ক’দিনের মধ্যেই, এবার কেন্দ্র বলল, আর অতিরিক্ত বাহিনী এখনই পাঠাব না!