রাতে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু বাবার, চোখের জল মুছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে প্রিয়া
সোনারপুর: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তার আগেই রাতেই মাথার ওপর ভেঙে পড়েছে আকাশ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাবার। চোখের জল মুছে বুধবার পরীক্ষা দিল মেয়ে। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় প্রিয়ার বাবা সমীর মণ্ডলের। রাতে কাজ সেরে সাইকেলে চড়ে বাঁশতলার বাড়িতে ফিরছিলেন সমীর। বোসপুকুর মোড়ের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাবার মৃত্যুর পরেও ভেঙে পড়েনি কিশোরী প্রিয়া। বরং চোখের জল মুছে বাবার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যেই আজ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে সে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে যে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে এদিন বিভিন্ন জেলায় দুর্ঘটনায় পড়ে একাধিক পরীক্ষার্থী। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে হাসপাতালে পরীক্ষা দিল এক পরীক্ষার্থী। সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় গাড়ি উল্টে আহত হয় নেকড়াশোল হাইস্কুলের চার পরীক্ষার্থী। হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় একজন। দুর্ঘটনায় পড়ে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বনগ্রাম হাইস্কুলের ছয় পড়ুয়াও। ইটাহার হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় তিনজন। পরীক্ষার আগে থেকে অসুস্থ থাকায় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাটা হাসপাতালে বসে দিতে হল বর্ধমানের ভাতারের মাধব পাবলিক ইন্সটিটিউশন ছাত্র রয়াল শেখকে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা সাগর হালদার। হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও পরীক্ষা দিতে পারেনি সে। অন্যদিকে, পরীক্ষা দেওয়া হল না জলপাইগুড়ি সদরের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মৌ ভৌমিকেরও। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। দুর্ঘটনা ঘটেছে পরীক্ষার শেষেও। বর্ধমানের রানিগঞ্জে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় আহত হয় দুই পরীক্ষার্থী। অন্যদিকে, পরীক্ষা শুরুর দিন তারস্বরে মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। পরীক্ষার্থীদের গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার পুলিশ আধিকারিকরা। সিউড়ির অন্ধ বিদ্যালয়ের চার ছাত্রের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে বীরভূম জেলা পুলিশ।