করোনা মোকাবিলায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ শেষের মুখে
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেছেন, আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে অক্সিজেন নিয়ে আসতে হত, কিন্তু এখন হাসপাতাল চত্বরে অক্সিজেন উৎপাদন হবে
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট। পিপিপি মডেলে এই প্লান্ট হলে হরিশ্চন্দ্রপুরের পাশাপাশি, আশপাশ এলাকার বহু মানুষের উপকার হবে। আগামী সপ্তাহে অক্সিজেন প্লান্ট চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য এবং আসন্ন। ইতিমধ্যেই এই সতর্কবার্তা দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আসন্ন এই বিপদের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক প্রশাসন।
জেলার মধ্যে প্রথম এখানেই গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পিপিপি মডেলে এই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হবে। মিনিটে ৫০ কেজি করে তৈরি হবে অক্সিজেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানিয়েছেন, ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই অক্সিজেন প্লান্ট দিয়ে হাসপাতালের ২৪ ঘণ্টায় একসঙ্গে ৫০ জন রোগীকে অক্সিজেনের সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেছেন, আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে অক্সিজেন নিয়ে আসতে হত, কিন্তু এখন হাসপাতাল চত্বরে অক্সিজেন উৎপাদন হবে, এতে এলাকাবাসীদের প্রচুর সুবিধা হল।
আগামী সপ্তাহেই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ শেষ হবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, বহু মানুষ হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উপর ভরসা করে থাকেন, অক্সিজেন প্লান্ট হরিশ্চন্দ্রপুরের মতো গ্রামীণ হাসপাতালে বসানোয় এলাকার অনেক গরিব রোগীদের সুবিধা হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেন প্লান্টের পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে ২৪ বেডের সেফ হোম।
উল্লেখ্য, দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, তখন বিভিন্ন হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেনের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছিল।দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশেষত, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের উদ্যোগ আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।