Hooghly khanakul: খানাকুলের বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, নদীর বাঁধেই আশ্রয় গৃহহীনদের
বড় বড় বাড়ি গুলি জলে পড়ে রয়েছে। কোনওটা আবার পুরোটাই ভেঙ্গে গিয়েছে। যার ওপর দিয়ে এখনও জল বয়ে যাচ্ছে। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বাড়ির লোকজন আপাতত নদীর বাঁধেই আশ্রয় নিয়েছেন।
মোহন দাস, হুগলি: সাত দিন কেটে গেছে। এখনও রূপ নারায়ণের জল ঢুকছে হু হু করে। জল ঢুকলেও জল কিছুটা কমেছে। পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপ। বড় বড় বাড়ি গুলি জলে পড়ে রয়েছে। কোনওটা আবার পুরোটাই ভেঙ্গে গিয়েছে। যার ওপর দিয়ে এখনও জল বয়ে যাচ্ছে। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বাড়ির লোকজন আপাতত নদীর বাঁধেই আশ্রয় নিয়েছেন। খানাকুলের ধান্যঘোড়ি ও বন্দর গ্রামের হাল এরকমই।
টানা বৃষ্টির জের এবং নদী বাঁধ ভাঙায় হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের পর এবার প্লাবিত হয়েছে খানাকুল। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বরের জলে ভাসছে খানাকুলের একাধিক গ্রাম। বন্দিপুরে দ্বারকেশ্বর ও ঘোড়াদহে রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে একাধিক গ্রামে। বেশ কয়েকটি এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে জল। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ায় নতুন করে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাশাপাশি খানাকুলের নন্দনপুর এলাকার আরামবাগ গড়ের ঘাট রুটের ওপর দিয়ে প্রচন্ড স্রোত বইছে জলের। এর ফলে আপাতত সমস্ত রকম যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অপর দিকে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে খানাকুলে। ইতিমধ্যেই নন্দনপুর, বার নন্দন পুর, মাড়োখানা, রাধাকৃষ্ণপুর রাজহাটি, জগদীশ তলা, জগৎপুর, হানুয়া, ঘোড়াদহ, বন্দর, কাকনান,ঠাকুরানী চক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, হুগলির পাশাপাশি পাঁশকুড়া পুর-এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কংসাবতীর বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।
জল ছাড়ার জেরে কংসাবতী নদীর জল ক্রমাগত বাড়ছে। পাঁশকুড়ার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তীলোন্দপুর এলাকায় নদীর পাড়ে বড় ফাটল ধরা পড়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেরহাটি সহ বিভিন্ন এলাকার নদী পাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। গোবিন্দনগর, মাইশোরা, হাউর, রাধাবল্লভপুর, পাঁশকুড়া টাউন সহ বিস্তীর্ণ এলাকা বৃষ্টির জলে ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়েছে।