Howrah: অবিরাম বৃষ্টিতে জলমগ্ন টিকিয়াপাড়া কারশেড, জলের তলায় ট্র্যাক, ব্যাহত রেল পরিষেবা

সাঁতরাগাছি-সহ একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা

হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় জলের তলায় চলে গিয়েছে রেলের ট্র্যাক

সুনীত হালদার ও সৌমিত্র রায়, টিকিয়াপাড়া: অবিরাম বৃষ্টিতে জলমগ্ন টিকিয়াপাড়া কারশেড। জল ঢুকল রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেমের একাধিক পয়েন্টে। ব্যাহত রেল পরিষেবা। বাতিল বেশকিছু ট্রেন। সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের। 

নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি। আর তাতেই জল জমেছে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া রেল কারশেডে।  জলের তলায় চলে গিয়েছে রেলের ট্র্যাক।  তাই গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই, শুক্রবার থমকে গেল একাধিক ট্রেন। 

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, লাইনে জল জমে একাধিক পয়েন্টে রেলের স্বয়ংক্রিয় সিগনালিং ব্যবস্থা বা RRI বসে যাওয়ায়, ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। অনেক ট্রেন হাওড়ার আগেই সাঁতরাগাছি-সহ একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। 

গন্তব্যে পৌঁছতে বাধ্য হয়ে অনেকে জল ভেঙে লাইন দিয়েই হাঁটতে শুরু করেন।  কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ অনেক আগেই শেষ করে দেওয়া হয়। যেমন ডাউন পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস। এদিন খড়গপুর স্টেশনে ট্রেনটি ঢুকলে সেটির যাত্রাপথ সেখানেই শেষ করে দেওয়া হয়। 

যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীদের একাংশ। একজন বললেন, কোনও ঘোষণা করেনি। এখানে হঠাত্‍ করে ক্যানসেল করে দিল।  এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ পূর্ব রেলের ডিভিশনাল কর্মাশিয়াল ম্যানেজার গজরাজ সিংহ চরণ বলেন, গতকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে ট্র্যাকে জল জমে গেছে। তাই বাতিল করতে হয়েছে। 

টানা বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ায় এদিন হাওড়া থেকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, পূর্বা এক্সপ্রেস, লাল কুয়াঁ এক্সপ্রেস, হুল এক্সপ্রেস ও ভাগলপুর এক্সপ্রেস। 

পাশাপাশি হিমগিরি এক্সপ্রেস, দুন এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।  প্রবল বৃষ্টির জেরে বেলুড় স্টেশনের আন্ডারপাসেরও এখন ভাসমান অবস্থা।  খড়গপুরেও রেললাইনের ধারের মাটিতে ধস নেমেছে। 

এরই মধ্যে হাওড়ায় ধরা পড়ল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের মানবিক মুখ। শুক্রবার সকালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন দাশনগরের ৫৫ বছরের প্রৌঢ়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে জলের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্সের ইঞ্জিন। হাঁটু অবধি জলের মধ্যেই নেমে পড়েন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। জলের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স ঠেলেই রোগীকে নার্সিংহোমে পৌঁছে দেন চালক।