Actor turns Fish Seller: করোনা কেড়েছে কাজ, পেশা বদলে এখন মাছের ব্যবসা করছেন টলিপাড়ার অভিনেতা
শ্যুটিং ফ্লোরে ক্যামেরার সামনে ডায়লগ বলার বদলে বাজারে বসে মাছের দর হাঁকছেন মেমারির তরুণ-- 'বড় বড় কাতলা দেড়শো টাকা দেড়শো টাকা...'
কমলকৃষ্ণ দে, মেমারি (পূর্ব বর্ধমান): করোনা কেড়েছে কাজ, বদলে দিয়েছে পেশা। এক দশকের বেশি সময়ের অভিনয় জীবন ছেড়ে, এখন মাছ ব্যবসা করছেন টালিগঞ্জের পরিচিত মুখ অরিন্দম প্রামাণিক।
লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন এখন অতীত। তরুণ অভিনেতাকে রাস্তায় এনে ফেলেছে করোনা মহামারী।
শ্যুটিং ফ্লোরে ক্যামেরার সামনে ডায়লগ বলার বদলে বাজারে বসে মাছের দর হাঁকছেন মেমারির তরুণ-- 'বড় বড় কাতলা দেড়শো টাকা দেড়শো টাকা...'
দশ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয় করে আসা অরিন্দম প্রামাণিক শিল্পীসত্তা ছেড়ে এখন নিখাদ পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী।
ভোর থেকে উঠে মেমারি স্টেশন বাজারের আড়তে মাছ বিক্রি করেন বছর চৌত্রিশের যুবক। বড় কাতলা ১৮০ টাকা কেজি, বড় কাতলা ১৮০ টাকা কেজি।
ছোট থেকেই অভিনয়ে ঝোঁক ছিল অরিন্দমের। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় নাট্যকার ও নির্দেশক চন্দন সেনের নাটকের দলে অভিনয়ে হাতেখড়ি।
২০১১ সালে সুবর্ণলতা মেগা ধারাবাহিকে খোকা চরিত্রে অরিন্দমের অভিনয় তাঁর পরিচিতির পরিসর বাড়িয়ে তোলে। রাশি, অগ্নিপরীক্ষার মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও তোর নাম, হারকিউলিস এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন অরিন্দম।
কিন্তু করোনা-আবহ তছনছ করে দিয়েছে অনেক কিছু। সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে শিল্পীর পেশা। অরিন্দম বললেন, মাছের ব্যবসা শুরু করার পর কাজের সুযোগ এসেছিল একবার। ভরসা করতে পারিনি।
অরিন্দমের কথায়, পরিবারের এটাই একমাত্র আয়ের উৎস। তাই এটা ছেড়ে স্বপ্নের পেশায় যাওয়ার ঝুঁকিটা নিতে পারিনি। ডিনাই করেছিলাম। সত্যি তাই। দেখলাম আবার বন্ধ হল। এখন শুনছি থার্ড স্টেজ আসছে। এখন সুযোগ এলেও প্রশ্ন, ব্যবসাটাকে দেখবে। অনেকটা সাজিয়ে নিয়েছি।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি শহরের সোমেশ্বরতলার বাসিন্দা অরিন্দম। বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও রয়েছেন স্ত্রী। গত বছর লকডাউনের সময় টালিগঞ্জ ছেড়ে মেমারির বাড়িতে চলে আসেন।
তিনি বলেন, বাবা বলল তুই একটা কজ কর, মাছের ব্যবসা কর। আমি দেখলাম সেটাই শ্রেয়। বাবার একটা সবজির দোকানও ছিল। সবজির চাহিদা ছিল না সেরকম। তাই মাছের ব্যবসা করছি। এখন স্টেবল। পেটের টান এমন একটা জিনিস, আমার পকেটে যখন পয়সা নেই, তখন ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে কাউকে পাঁচশো টাকা ধার চাইলেও কেউ দেবে না।