(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Narada Scam Updates: দয়া করে হাইকোর্টের সামনে আসবেন না, কোনও বিশৃঙ্খলা করবেন না, ভিডিও বার্তা ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিমের
গতকাল নিজাম প্যালেসের বাইরেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন ফিরহাদ কন্যা
কলকাতা : 'দয়া করে শান্ত থাকুন, সাবধানে থাকুন। আপনাদের যা লেখার সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখুন, কিন্তু দয়া করে কেউ আগামীকাল হাইকোর্টের সামনে আসবেন না। কোনও বিশৃঙ্খলা করবেন না।' ফিরহাদ হাকিমের ফেসবুক পেজ থেকে এমনই বার্তা দিলেন তাঁর বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। গতকাল ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে বসিয়ে রেখেছিল সিবিআই। তখন সেখানে বাইরে উপস্থিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বারবার শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন ফিরহাদ কন্যা। আর আগামীকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানির প্রাক্কালে ভিডিও বার্তা দিলেন তিনি।
ফিরহাদ হাকিমের ফেসবুজ পেজ থেকে তাঁর বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিমের বার্তা, 'যদি আপনারা ববিদাকেই সমর্থন করেন, ববি হাকিমকে ভালোবাসেন তাহলে তাঁর যে ইচ্ছা যে আমরা বাংলায় করোনার বিস্তার রুখে দেব, সেই ইচ্ছাটাকে সমর্থন জানাবেন। তাই সকলের কাছে আমার আবেদন দয়া করে শান্ত থাকুন, সাবধানে থাকুনআপনাদের যা লেখার সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখুন, কিন্তু দয়া করে কেউ আগামীকাল হাইকোর্টের সামনে আসবেন না। কোনও বিশৃঙ্খলা করবেন না।'
গতকাল মাঝরাতে নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে কান্না চাপতে পারেননি ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান বলেছিলেন, 'কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কলকাতার মানুষকে আমাকে বাঁচাতে দিল না।' পাশাপাশি বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাপ্রকাশ ও জনপ্রিয় হওয়াটা কী দোষের, প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
উল্টোদিকে, সিবিআই তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে প্রভাবশালী হওয়ার তকমা সামনে এনে হেফাজতের দাবি করছিল। তাই একদিকে কোভিড সতর্কতা অন্যদিকে যাতে সমর্থকদের কোনও কাজ হিতে বিপরীত না হয়, সেই জন্যই ফিরহাদ কন্যার এমন বার্তা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তারা সামনে তুলে ধরছে গতকালের ফিরহাদ কন্যার বক্তব্য, যেখানে নিজাম প্যালেসের সামনে হ্যান্ড মাইক হাতে তিনি তৃণমূল সমর্থকদের সতর্ক করেছিলেন, আপনারা শান্ত না হলে সেটা সুবিধা নিতে পারে ওরা। আসলে বাংলায় হেরে মোদি-অমিত শাহ জুটি এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কিন্তু এই সময়েও আমাদের শান্ত থাকতে হবে, ভরসা রাখতে হবে বিচারব্যবস্থার ওপর।