Trawler Capsizes: সুন্দরবনের কলস দ্বীপের কাছে ট্রলারডুবি, উদ্ধার ১২ মৎস্যজীবী
সকাল ১১টা নাগাদ সুন্দরবনের কাছে কলস দ্বীপে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় ট্রলার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের কলস দ্বীপের কাছে ট্রলারডুবি। উদ্ধার ১২ জন মত্স্যজীবী। গতকাল ভোরে এফবি তারা মা নামে ট্রলারে চড়ে মাছ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দেন মত্স্যজীবীরা। সকাল ১১টা নাগাদ সুন্দরবনের কাছে কলস দ্বীপে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় ট্রলার।
আশপাশের ট্রলারের মত্স্যজীবীদের সাহায্যে প্রাণরক্ষা হয় এফবি তারা মা-র ১২ জন মত্স্যজীবীর। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে কীভাবে ওই মত্স্যজীবীরা মাছ ধরতে গেলেন, তা খতিয়ে দেখছে মত্স্যজীবীদের সংগঠন।
কয়েকদিন আগেই হলদি নদীতে ট্রলারডুবিতে চালকের মৃত্যু হয়েছিল। নিখোঁজ হন আরও ৩ মত্স্যজীবী।অশান্ত নদীতে পুলিশ প্রশাসনের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ট্রলার নিয়ে বেরনোই কাল হয় বলে জানা গিয়েছিল। পাড়ের থেকে কিছুটা গিয়েই উল্টে গিয়েছিল ট্রলার। মৃত্যু হয় চালকের। নিখোঁজ হনআরও ৩ মত্স্যুজীবী। এক সপ্তাহ আগে রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত ১১টা নাগাদ নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জলপাই থেকে মা করুণাময়ী নামে একটি ট্রলারে হলদি নদীতে মাছ ধরতে বেরোন ১৪ জন মত্স্যীজীবী। পাড় থেকে কিছুটা এগিয়ে তাঁরা নোঙর করে রান্নাবান্না করছিলেন। ট্রলারে মজুত ছিল কয়েকশো লিটার ডিজেলভর্তি বড় বড় ব্যারেল। আচমকাই জোয়ারের বড় ঢেউ ধাক্কা দিলে কাত হয়ে যায় ট্রলার। ডিজেলভর্তি ব্যারেলগুলি একদিকে চলে যায়। এতেই একদিনের ওজন বেড়ে যাওয়ায় ট্রলার উল্টে যায়। মৎস্যজীবীদের অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ জন সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। ঘণ্টা পাঁচেক পর ট্রলারের নীচ থেকে ২ জনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ট্রলার চালক প্রদীপ মান্নার মৃত্যু হয়। আর একজনকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ মত্স্যীজীবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভোররাত থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ, হলদিয়ার এসডিপিও, নন্দীগ্রামের বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উপকুলরক্ষী বাহিনী হোভারক্রাফট নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। উপকূলরক্ষীর বাহিনীর হেলিকপ্টারও অভিযানে অংশ নেয়। স্পিড বোট নিয়ে তল্লাশি চালায় রিভার ট্রাফিক পুলিশ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও তল্লাশি চালান।
পুলিশ প্রশাসনের তরফে জোয়ারের জন্য নদীতে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে বেরিয়েই দুর্ঘটনা, এমনটাই অভিযোগ।