Tanmoy Ghosh joins TMC: ফের বিজেপিতে ভাঙন, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের
বিজেপিত্যাগী বিধায়কের দাবি, বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী কাজ করছে বিজেপি। প্রতিবাদ জানাতেই তাঁর তৃণমূলে যোগদান।
কলকাতা: ফের ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। তৃণমূলে (TMC) প্রত্যাবর্তন বিজেপি (BJP) বিধায়কের। এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) উপস্থিতিতে শাসকদলে যোগ দেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক (Bishnupur BJP MLA) তন্ময় ঘোষ (Tanmoy Ghosh)। বিজেপিত্যাগী বিধায়কের দাবি, বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী কাজ করছে বিজেপি। প্রতিবাদ জানাতেই তাঁর তৃণমূলে যোগদান।
যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, ভয় দেখিয়েই এই দলবদল। এর আগে তৃণমূলেই ছিলেন তন্ময় ঘোষ। ছিলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর। বিধানসভা ভোটের আগে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে জয়ী হন।
তৃণমূলে ফিরে তন্ময় ঘোষ বলেছেন, বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবহার করে তারা বাংলার মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করেছেন তন্ময়। তিনি বলেছেন, জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে সমর্থন করেন।
বিষ্ণুপুরের যুব তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি গত ৫ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দ্বিতীয় বিজেপি বিধায়ক হিসেবে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। এর আগে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরেছিলেন।
তন্ময় ঘোষের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে ব্রাত্য বসু বলেছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে চলছে। সে রাজ্যে তৃণমূলের কাজকর্মে বাধা তৈরি করছে বিজেপি। ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করে ব্রাত্য বসু বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে গেলে জনসুনামি দেখা যাবে। তিনি আরও দাবি করেছেন, ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়করাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
আরও পড়ুন- TMC Tripura Assam : মমতার হুঁশিয়ারি, অসমেও খেলা হবে' ! তবে কি এবার টার্গেট অসম? সামনে সুস্মিতা?
উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কার্যত হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। বিভিন্নস্তরের নেতা ও কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। এরপর থেকেই উল্টোস্রোত দেখা দিয়েছে। অনেক নেতাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।