Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে পরিযায়ী শ্রমিক মামলার শুনানি, 'সন্দেহভাজনদের এভাবে আটক করা যায় না..'
Migrant Workers Case: সুপ্রিম কোর্টে পরিযায়ী শ্রমিক মামলার শুনানি, আজ মাননীয় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ কী ছিল ?

সৌভিক মজুমদার, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে পরিযায়ী শ্রমিক মামলার শুনানি। 'অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে যাদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হচ্ছে তারা ভারতের নাগরিক', যখন বাংলাদেশ তাদের নিতে অস্বীকার করছে তখন তাদের ফেরত নেওয়া হচ্ছে, সওয়াল প্রশান্ত ভূষণের।'কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তির নিরিখে বহু জায়গায় বাঙালি মুসলিম পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করা হচ্ছে', নথি যাচাইয়ের পর দেখা যাচ্ছে যে তারা আমাদেরই নাগরিক, সওয়াল প্রশান্ত ভূষণের। আন্ত:রাজ্য নথি যাচাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ নেই? প্রশ্ন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। 'যে রাজ্যে থেকে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা গেছেন এবং যেখান কাজ করছেন...', তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য নোডাল এজেন্সি থাকা দরকার, মন্তব্য বিচারপতি সূর্য কান্তের।'শ্রমিকরা এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন', সন্দেহভাজনদের এভাবে আটক করা যায় না, সওয়াল প্রশান্ত ভূষণের।
আরও পড়ুন, 'SSC নিয়োগ দুর্নীতির টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে ১৬টি ভিলা..' ! নিউটাউন ও পার্ক স্ট্রিটে ED-র হানা
'সমন্বয় সাধনের জন্য নোডাল এজেন্সি থাকা দরকার..'
মাননীয় বিচারপতি সূর্যকান্তের পর্যবেক্ষণ, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি সেখানে বলছেন যে, এই যে পরিযায়ী শ্রমিকরা, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান, এই দুই রাজ্যের মধ্যে সমণ্বয় সাধনের জন্য একটা নোডাল এজেন্সি থাকা প্রয়োজন। যেই এজেন্সির মাধ্যমে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা, আসছেন, এবং কী কাজে যাচ্ছেন, তার তথ্য সেখানে জমা রাখা যায়, অর্থাৎ ভেরিফিকেশন যাতে সম্ভব হয়, সেটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাননীয় বিচারপতি আরও একটি বিচার রেখেছেন, সেখানে তিনি বলছেন, এই পরিযায়ী শ্রমিক যারা ভিনরাজ্যে কাজের জন্য যাচ্ছেন, বা যেখান থেকে যাচ্ছেন, সেখান থেকে তাঁদের জন্য, আইডি কার্ড বানানো উচিত। সেই আইডি কার্ডের মাধ্যমে তাঁরা যেখানেই কাজের জন্য যাচ্ছেন, যদি তাঁদের আটক করা হয়, বা সেখানকার প্রশাসন তাঁদেরকে সন্দেহভাজন বলে মনে করে, প্রাথমিক তাঁদের পরিচয় পত্র হিসেবে সেই কার্ডটি দেখতে পারে, এই ধরণের একটা প্রস্তাব মাননীয় বিচারপতি সূর্যকান্তের তরফ থেকে রাখা হয়েছে। এই মামলা পশ্চিমবঙ্গের পরিযাযী শ্রমিকের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে করা হয়।যারা বাংলাভাষী, এবং যারা পরিযায়ী শ্রমিক যাচ্ছেন, তাঁদেরকে আটক করা হচ্ছে, হেনস্থা করা হচ্ছে, তাঁদেরকে অত্যাচার করা হচ্ছে, বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে, তারপর এরাজ্যের সরকার যখন বলছে, তাঁরা বাংলাদেশের বাসিন্দা নন, তখন আবারও ভারতে ফেরৎ নেওয়া হচ্ছে। ফলত সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে আগামী দুই সপ্তাহে মনে করা হচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া সংগঠিত হবে। সেই সময় পরবর্তী নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দেবে।






















