Ram Mandir: 'রাম স্বপ্নে এসে যেতে বারণ করছেন', চাঞ্চল্যকর দাবি লালু-পুত্রের!
Ayodhya Ram Mandir: তিনি এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ভগবান রামই না কি তাঁকে স্বপ্নে এসে রামমন্দিরে যেতে নিষেধ করেছেন।
নয়া দিল্লি: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ayodhya) রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে কমবেশি সকলেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে আগ্রহ 'না' দেখানোর তালিকাও কম নেই। দেশের শঙ্করাচার্যদের একাংশের তরফে যেমন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার কথা জানান হয়েছে। তবে এই বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুলেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে ও বিহারের নীতীশ মন্ত্রিসভার সদস্য তেজপ্রতাপ যাদব।
ঠিক কী বলেছেন লালু-পুত্র?
তিনি এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ভগবান রামই না কি তাঁকে স্বপ্নে এসে রামমন্দিরে যেতে নিষেধ করেছেন। একটি অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রেখেছেন লালু-পুত্র। তিনি বলেন, 'নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে তো রামকে ভুলে যায়, তাই এটা তো বাধ্যতামূলক হতে পারে না যে তিনি ২২ জানুয়ারি আসবেন। ভগবান রাম আমার স্বপ্নে এসেছিলেন। তিনি বলেছেন যেহেতু এর মধ্যে অনেক ভণ্ডামি আছে তাই তিনি আসবেন না।'
তেজ প্রতাপ চার শঙ্করাচার্যের কথাও উল্লেখ করেন। এদিকে ফের প্রধানমন্ত্রীর রামমন্দির উদ্বোধন কর্মসূচি নিয়ে ফের মুখ খুলেছেন দুই শঙ্করাচার্য। দুই শঙ্করাচার্যদের তরফে বলা হয়েছে, যে সনাতন ধর্মের নিয়মের কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে না। তাঁরা ধর্মগ্রন্থের বিরুদ্ধে যেতে পারবেন না, তাই এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না তাঁরা।
স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী বুধবার হরিদ্বারে স্পষ্ট করেছেন তাঁর না যাওয়ার বিষয়টি। অন্যদিকে, স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতীও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকার করেছেন। তবে স্বামী ভারতীকৃষ্ণ এবং স্বামী সদানন্দ সরস্বতীর কাছ থেকে কোনও বিবৃতি আসেনি। তাঁরা অংশগ্রহণ করবেন না কি থাকবেন না, সে বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য। তিনি বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের কর্মসূচি শাস্ত্র ও নিয়মের পরিপন্থী। তিনি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শেষ না করে ভগবান রামের জীবনকে পবিত্র করা সনাতন ধর্মের নিয়মের প্রথম লঙ্ঘন। এর জন্য তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়।
অন্যদিকে, পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় গর্ভগৃহে ঢুকে রামলালার মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন। আর আমরা শঙ্করাচার্যরা বাইরে বসে তালি বাজাব, এটা কি শাস্ত্রীয় মর্যাদা? ধর্মনিরপেক্ষ শাসনের অর্থ শাস্ত্রীয় পরম্পরা উচ্ছেদ করা নয়'।
আরও পড়ুন, 'শাস্ত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া হচ্ছে', রাম মন্দির উদ্বোধনে নিয়ম লঙ্ঘনের 'অভিযোগ' দুই শঙ্করাচার্যের?