Tota Exclusive: 'জয়সলমীরে শ্যুটিং শুনে নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম, সোনার কেল্লা!'
Tota Exclusive: চলতি শ্যুটিংয়ের কোনও ছবি নেই প্রোফাইলে, কিন্তু জ্বলজ্বল করছে সোনার কেল্লার সামনে তাঁর ছবি। এটা কী বাঙালিয়ানা নাকি ফেলুদাকে নিজের থেকে আলাদা করতে পারছেন না টোটা?
কলকাতা: একদিকে বাংলা অন্যদিকে বলিউড, কার্যত শাটল ককের মতো দুই জায়গায় শ্যুটিংয়ের কাজ সারছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যায়, কখনও তিনি দার্জিলিং-এ আবার কখনও তিনি জয়সলমীরে। কিন্তু এই সমস্ত শ্যুটিংয়ে তাঁর বাঙালি সত্তা ভুলতে পারে না একটা চরিত্রকে। সেটা ফেলুদা। তাই 'রকি অউর রানি কী প্রেম কাহানি' ছবির শ্যুটিং করতে জয়সলমীরে গিয়েও 'সোনার কেল্লা' খুঁজেছিলেন টোটা রায়চৌধুরী।
জয়সলমীর.. সোনার কেল্লা...
চলতি শ্যুটিংয়ের কোনও ছবি নেই প্রোফাইলে, কিন্তু জ্বলজ্বল করছে সোনার কেল্লার সামনে তাঁর ছবি। এটা কী বাঙালিয়ানা নাকি ফেলুদাকে নিজের থেকে আলাদা করতে পারছেন না টোটা? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্পষ্টতই বেশ উৎসাহিত দেখাল টোটাকে। বললেন, 'তাহলে তোমায় একটা গল্প বলি। 'রকি অউর রানি কী প্রেম কাহানি'-র শ্যুটিং চলছে। কর্ণ স্যারের (কর্ণ জোহর) এর সহকারী আমায় ফোন করলেন। বললেন, 'স্যর আমাদের পরের শিডিউলটা রাজস্থানে আছে। আমি প্রশ্ন করলাম, কোথায়? উনি বললেন, জয়সলমীর। সঙ্গে সঙ্গে আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেল.. সোনার কেল্লা! ফোনের ওপারের স্বর বলল, হোয়াট স্যর? আই ডিডন্ট আন্ডারস্যান্ড। আমি বললাম, সরি সরি, ওটা অন্য ব্যাপার। আপনি বুঝবেন না।'
একটু হেসে টোটা ফের বললেন, 'আমার অজান্তেই মুখ ফুটে সোনার কেল্লা কথাটা বেরিয়ে গিয়েছিল। আসলে ভক্ত তো। আমি যেদিন ওখানে পৌঁছেছিলাম, সেদিন দেরি হয়ে গিয়েছিল বলে যেতে পারিনি। পরেরদিন সকালেই সোনার কেল্লার সামনে হাজির। মনে হয়েছিল, আগে সোনার কেল্লা, পরে শ্যুটিং।'
আরও পড়ুন: Tota Exclusive: 'সৃজিত কী লিখেছে? অডিশনের দরকার নেই, তুমি আমার ফেলুদা নয়?'
'রকি অউর রানি কী প্রেম কাহানি'-র মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন রণবীর সিংহ ও আলিয়া ভট্ট। এঁদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হচ্ছে? টোটা বললেন, 'বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে, কিন্তু ওদের থেকে কাজের প্রতি মনোযোগটা শিক্ষনীয়। আর এত বড় তারকা হয়েও কাজের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র অহংকার নেই। আলিয়া এসে বাংলা উচ্চারণ শিখছে। বলছে, দেখো তো আমি বলছি, সঠিক হচ্ছে কী না..' রণবীর সেটে এসেই জড়িয়ে ধরে বলছে, 'কেমন আছেন স্যর.. খুব ভালো লাগছে আপনার সঙ্গে কাজ করে..' ওই উচ্চতায় পৌঁছেও যে মাটির এত কাছাকাছি থাকা যায়, তা সত্যিই শেখার।'