Tripura News: বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সাউন্ড বক্স বন্ধ করায় ওসিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ত্রিপুরায়
Procession Chaos: অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গেলে তাঁদের সঙ্গেও বচসা ক্লাব সদস্যদের। গাড়ি ও সাউন্ড বক্স বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা : ত্রিপুরায় বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সাউন্ড বক্স বন্ধ করায় ওসিকে বেধড়ক মারধর। মারধরের অভিযোগ পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। রাস্তায় ফেলে ওসিকে কিল, চড়, লাথি, ঘুষি। বিলোনিয়া ওরিয়েন্টাল ক্লাবের কালী প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় গন্ডগোল। পুজো উদ্যোক্তারা কথা না শোনায় ওসি সাউন্ড বক্স বন্ধ করে দেওয়ায় গন্ডগোল। ওসিকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গেলে তাঁদের সঙ্গেও বচসা ক্লাব সদস্যদের। গাড়ি ও সাউন্ড বক্স বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উদ্যোক্তাদের পাল্টা অভিযোগ, শোভাযাত্রায় থাকা সঙ্গীত শিল্পীকে নিগ্রহ করেছেন ওসি।
জানা যাচ্ছে, প্রথমে সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে বলেছিলেন ওসি। পুজো উদ্যোক্তারা কথা শোনেননি। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় চলতে থাকে সাউন্ড বক্স। সেই সময় নিজেই সাউন্ড বক্স বন্ধ করে দেন ওসি। এরপরই ওসিকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই ছবিও ধরা পড়েছে। তবে উদ্যোক্তাদের একাংশের অভিযোগ, ওই ওসি তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এমনকি শোভাযাত্রায় যে সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন তাঁকে ওই পুলিশকর্তা হেনস্থা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তবে একজন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের উপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, সেই ছবি দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেছেন। এই ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
কালী প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বেরিয়েছিল এই শোভাযাত্রা। সেখানে একটি গাড়িতে মঞ্চের মতো একটা স্টেজ তৈরি হয়েছিল। চলছিল গানবাজনাও। বিশাল শোভাযাত্রার জেরে তুমুল যানজট তৈরি হয়। পুলিশের তরফে ওই ওসি গিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানান ক্লাব কর্মকর্তাদের কাছে। এর পাশাপাশি কম আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজানোর কথাও বলেন। তবে পুলিশকর্তার কথায় কর্ণপাত করেননি পুজো উদ্যোক্তারা। ফলে ওসি নিজেই ওই গাড়িতে উঠে সাউন্ড বক্স বন্ধ করে দেন। এরপরই তাঁকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন উত্তেজিত উদ্যোক্তাদের একটা বড় অংশ। ওই গাড়ি থেকে ওসিকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে চলতে থাকে কিল, চড়, লাথি, ঘুষি। এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যায় বিশাল বাহিনী। তাদের সঙ্গেও বচসা শুরু করেন ক্লাব কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে।






















