উন্নাও: মুখ্যমন্ত্রী না আসা পর্যন্ত শেষকৃত্য নয়, জানাল মৃত তরুণীর পরিবার, দাবি সরকারি চাকরিরও
শুক্রবার রাতে দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় উন্নাও নির্যাততার।
উন্নাও: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যতক্ষণ না গ্রামে এসে কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত দিদির শেষকৃত্য হবে না। এমনটাই জানিয়ে দিল মৃত উন্নাও-নির্যাতিতার বোন। শুক্রবার রাতে দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় উন্নাও নির্যাততার। গতকাল তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামে। রবিবার শেষকৃত্য হওয়ার কথা। তার আগে, মৃত তরুণীর বোন জানিয়ে দেন, যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতেই শেষকৃত্য হবে। বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলতে চাই। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবির পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, নিহত তরুণীর খুব শীঘ্রই সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এখন সেই চাকরিতে তিনি করতে চান। প্রশাসনের তরফে নিহত তরুণীর পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, তাঁরা চাইলে লখনউতে মু্খ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু, নিহত নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখা করবেন না। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে আসুন এবং তাঁদের দাবি পূরণ করুন। প্রশাসনের তরফে পরিবারকে বলা হয়, শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে। উত্তরে পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কে এখন আদালতের চক্কর কাটবে? উন্নাওয়ের জেলাশাসক দেবেন্দ্র পাণ্ডে এদিন জানান, দুই মন্ত্রীকে গ্রামে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গতকাল, দুই মন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য ও কমলরানী বরুণ দেখা করেন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে। শেষকৃত্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকবেন। এছাড়া, প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। জেলাশাসক বলেন, পরিবার জানিয়েছে, তরুণীর দেহ দাহ করা হবে না। নিজেদের জমিতে সমাধিস্থ করে সেখানেই একটি সমাধিস্থল গড়া হবে। যে জায়গায় এই সমাধি হবে, তার ঠিক পাশেই রয়েছে নিহতের দাদু-দিদার সমাধি। এর আগে, শনিবার রাতেই দেহ পৌঁছে গিয়েছে গ্রামে। প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন তরুণীকে শেষ দেখা দেখবেন বলে। উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতারা। কোনওপ্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দমকল বাহিনীকেও। গ্রামে রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সেই নিয়ে দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা লড়াই চালানোর পর শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৩ বছরের তরুণী। প্রসঙ্গত, গত বছর তিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। জামিন থেকে ছাড়া পেয়েই গত সপ্তাহে তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সেই সময় তিনি আদালতে যাচ্ছিলেন।