Vancouver Durga Puja: ভ্যাঙ্কুভারের দুর্গা পুজোর এবার ৪৭ বছর, কেমন ছিল আয়োজন?
Durga Puja 2023: ১৯৭৭ সাল থেকে পুজো হচ্ছে ভ্যাঙ্কুভারে। এবারেও দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নিয়েছিল লোয়ার মেনল্যান্ড বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটি।
Vancouver Durga Puja: রীতিনীতি মেনে পুজো (Durga Puja), পাত পেড়ে ভোগ খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান- সব মিলিয়ে জমজমাট আয়োজন। তবে কলকাতায় নয়। সুদূর ভ্যাঙ্কুভারে। বিগত ৪৭ বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে সেখানে। প্রতিবছরের মতোই এবারেও দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নিয়েছিল লোয়ার মেনল্যান্ড বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটি (Lower Mainland Bengali Cultural Society)। ১৯৭৭ সাল থেকে ভ্যাঙ্কুবারে পুজো করছে এই অলাভজনক সংস্থা। তবে এবারের পুজোতে ছিল বেশ কিছু বড় মাপের আয়োজন। আমাদের এখানে ষষ্ঠী থেকেই ভ্যাঙ্কুভারেও শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়। তারপর উইকেন্ড জুড়ে চলেছে মা দুর্গার আরাধনা। আর সব শেষে দেবী বরণ। সব মিলিয়ে দু-তিনদিনের জন্য ভ্যাঙ্কুভারে যেন হাজির হয়েছিল বঙ্গের একটা অংশ। কেমন ছিল এই বছরের পুজো প্রস্তুতি, কী কী হল সেখানে, এবিপি আনন্দ লাইভকে জানিয়েছেন লোয়ার মেনল্যান্ড বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ মিত্র।
অভিজিৎ নিজে চন্দননগরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে অনেকদিন হল ভ্যাঙ্কুভার নিবাসী। পুজোর কাজে বরাবরই যুক্ত থাকতেন তিনি। গত দু'বছর ধরে সোসাইটির প্রেসিডেন্ট পদেও আসীন হয়েছেন অভিজিৎ। দূরভাষে জানিয়েছেন, কলকাতার পুজো ভীষণ মিস করেন। ভ্যাঙ্কুভারের পুজোয় হয়তো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে না। কিন্তু যা প্রাপ্তি হয় সেটাই বা কম কী। অভিজিতের কথায়, 'পুজোর পরিকল্পনা চলে অনেকদিন ধরে। যেহেতু আমি প্রেসিডেন্ট একটু ঝক্কি তো থাকেই। অনেক দায়-দায়িত্ব। সবটা ঠিকভাবে সামলানো বেশ মুশকিল। তবে দিনের শেষে যখন সকলের মুখে হাসি দেখি সব ক্লান্তি ধুয়ে মুছে যায়। মনে হয় আমাদের সকলের পরিশ্রম। আর ক্লান্তি লাগে না।'
অভিজিৎ জানিয়েছেন, এবছর পুজোর ভেনু বদল হয়েছে। জায়গা আরও বড় হয়েছে। লোকসমাগমও বেড়েছে। সবচেয়ে আনন্দের হল শুধু বাঙালিরা নন, যোগ দিয়েছেন অনেক অবাঙালিও। তাঁদের কেউ হয়তো একসময় রাঁচিতে থাকতেন, কেউ বা থাকতেন দিল্লিতে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে সেই সময় সকলেই মেতে থাকতেন। এখন ভ্যাঙ্কুভারেও সেই সুযোগ পেয়েছেন। এবারের ভেনুতে এক জায়গায় ছিল পুজো এবং ভোগের আয়োজন। আর এক জায়গা ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত। পুজোর কয়েকদিন প্রায় দু'বেলাই হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতা। ভোগে ছিল সাবেকি খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি হাল্কা ফিউশনের ছোঁয়া। তবে দেবী বরণের আগে নিরামিষ খাবার খান সকলে। তারপর দশমীতে হয় জমিয়ে ভুরিভোজ। এবারও তার অন্যথা হয়নি। নিরামিষ খাবার ভেবে মনখারাপ হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ মোচার চপ থেকে শুরু করে সাবেকি বাঙালি অনেক নিরামিষ পদই ছিল মেনুতে। আর আমিষের দিন তো বিরিয়ানি টু চাইজিন, কী ছিল না। এর পাশাপাশি সব বয়সীদের জন্য ছিল বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন। আপাতত মায়ের বিদায়ের পর একটু মন খারাপ সকলেরই। তবে পরের বছরের পুজো নিয়ে অল্পস্বল্প আলোচনাও শুরু করে দিয়েছেন সকলে।