Duare Sarkar : কেন্দ্রের প্ল্যাটিনাম ডিজিটাল পুরস্কারে সম্মানিত রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার
West Bengal Duare Sarkar Award : নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কার দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
নয়াদিল্লি : সম্মানিত রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প । কেন্দ্রের দেওয়া প্ল্যাটিনাম ডিজিটাল পুরস্কারে সম্মানিত পশ্চিমবঙ্গ। নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কার দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
কেন এই সম্মান
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। অ্যাপ ও ডিজিট্যাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। সেই জন্যই এই পুরস্কার বলে জানানো হয়েছে। এই পুরস্কার নেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি একাধারে খুশি। অন্যদিকে তিনি তাঁদেরও সমালোচনা করেন, যাঁরা দুয়ারে সরকারের সমালোচনা করেন।
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'তাঁরা এই প্রকল্পের আগেও সমালোচনা করেছেন, এখনও করছেন। তাঁরা অবস্থান বদলাচ্ছেন না। একটা পুরস্কার কোনও প্রকল্প পেতেই পারে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে কত মানুষকে কানেক্ট করতে পারা যাচ্ছে সেটাই আসল কথা। কাগজে কলমে তো অনেক কিছুই করা যায় !'
এই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'দুয়ারে সরকার নানা রাজনৈতিক কুৎসা অপপ্রচারের পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে এই পুরস্কার পেল। একদিকে এই কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাল কাজের স্বীকৃতি, আর বিরোধিদের কাছে দুয়ারে হতাশা '
দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প, তৃণমূল সরকারের এমন একটি উদ্যোগ, যা নানাভাবে আলোচনায় এসেছে। বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। নানা সময় নানা সরকারি অফিসে দৌড়তে হয়। নানা সময় হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এই প্রকল্প আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার (State Government)। এক ছাদের তলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা একসঙ্গে পাওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার প্রকল্প এনেছিল রাজ্য।
নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট এলাকায় এই ক্যাম্প তৈরি হয়। কখন ক্যাম্প হবে, কতক্ষণ খোলা থাকবে, কতদিন চলবে সবাই আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া হয়। সেইখানে গিয়েই সাধারণ মানুষ সহজেই বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন। স্বাস্থ্য়সাথী কার্ড থেকে রেশন কার্ড (Ration Card)। কোনও ভাতা সংক্রান্ত বিষয় কিংবা অন্য কোনও সমস্যার সমাধানে সাধারণ মানুষের ভরসা এই প্রকল্প। এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে করা নিয়ে বারবার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কন্যাশ্রীর সম্মান
এর আগে জনপরিষেবার ক্ষেত্রে নজির গড়ার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরেক প্রকল্প । কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পায় রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প। ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডস-এর দ্য হেগ শহরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের কিং উইলিয়াম আলেকজান্ডার হলে ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্যে প্রথম হয় বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্প।