কলম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা, মৃত ব্রাজিলের বহু ক্লাব ফুটবলার সহ ৭৫, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৮১ জন যাত্রী নিয়ে মেডেলিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বিয়া যাচ্ছিল বিমানটি। ওই ফ্লাইটেই কলম্বিয়া যাচ্ছিলেন ক্যাপি কোয়েন্সের ফুটবলাররা। গন্তব্য ছিল মেডেলিনে লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্লাব টুর্নামেন্ট কোপা সুদামেরিকানা কাপের ফাইনালে কলম্বিয়ার অ্যাটলেটিকো ন্যাশনালের বিরুদ্ধে খেলা। বুধবার ছিল ফাইনাল ম্যাচ।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ এমার্জেন্সি সিগনাল পাঠাতে থাকে লামিয়া এয়ারলাইন্সের চার্টার বিমানটি। বলা হয়, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। উদ্ধারকার্যের জন্য হেলিকপ্টার পাঠালেও দৃশ্যমানতা কম থাকায় তা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।
রাত সওয়া ১০টা নাগাদ কলম্বিয়ার মেডেলিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সেরো গর্দো নামক অঞ্চলে ভেঙে পড়ে ব্রিটিশ এরোস্পেস ১৪৬ বিমানটি। সেখানকার পাহারি এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় বিমানে ৭২ জন যাত্রী ও ৮ জন ক্রু ছিলেন।
জানা গিয়েছে, বিমানটি ব্রাজিলের সাও পাওলো থেকে প্রথম রওনা দেয়। এরপর বলিভিয়ার লান্তা ক্রুজ হয়ে মেডেলিনের কাছে রিওনেগ্রোর উদ্দেশে যাচ্ছিল বিমানটি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা।
ক্যাপি কোয়েন্স ক্লাবের সহ-সভাপতি ইভান তোজো জানান, অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ভীষণ বড় বিপর্যয়। এটা মানা যায় না। মেডেলিনের মেয়র ফেডেরিকো গুটিএরেজ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানযাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। মেয়রের ভাষায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, এবং এরফলে ফুটবল বিশ্বের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।
যাত্রী ও বিমানকর্মীসহ মোট ৮১ জন ছিলেন বিমানে। দুর্ঘটনায় তাঁদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কলম্বিয়ার পুলিশ। ধ্বংসস্তূপ থেকে ইতিমধ্যেই অনেকগুলি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন ফুটবলারও রয়েছেবন বলে জানা গিয়েছে।
গত ৬ বছরে এই ক্যাপিকোয়েন্স ক্লাবের স্বপ্নের উড়ানে বিষ্মিত হয়েছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব। কলম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় ছেদ পড়ল সেই উড়ানে। কোপা সুদামেরিকানা কাপের ফাইনাল খেলতে, বলিভিয়া থেকে কলম্বিয়া যাওয়ার পথে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ব্রাজিলের ক্যাপিকোয়েন্স ক্লাবের ফুটবলাররা।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিচেল ট্রেমার।