Australia: সোনা ভেবে পাথর নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে, কয়েক বছর পর ‘দাম’ জেনে হতবাক অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা
Precious stone:ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে ওই পাথর যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতে কোনও সোনা পাওয়া না যাওয়ায় একদিন তিনি তা নিয়ে মিউজিয়ামে পৌঁছে যান।সেখানে তাঁকে বলা হয় যে, এটি কোনও সাধারণ পাথর নয়।
![Australia: সোনা ভেবে পাথর নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে, কয়েক বছর পর ‘দাম’ জেনে হতবাক অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা australian men found 1000 years old meteorite, he found this stone in 2015 and kept this stone 6 years hoping that this is gold Australia: সোনা ভেবে পাথর নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে, কয়েক বছর পর ‘দাম’ জেনে হতবাক অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/11/25/5ca740155f128d6e39652b4d47c26af0_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
মেলবোর্ন: জীবনে এমন অনেক সময় আসে, যখন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি কিছু মিলে যায়। এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। একটি পার্কে এসে হঠাৎ করেই পেয়ে যান এক টুকরো পাথর। একটু অন্য ধরনের পাথর দেখে তা নিয়ে আসেন তিনি। পাথর হলে কী হবে! এর দাম কত, তা আন্দাজ করাই মুশকিল। ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে ওই পাথর যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতে কোনও সোনা পাওয়া না যাওয়ায় একদিন তিনি তা নিয়ে মিউজিয়ামে পৌঁছে যান। সেখানে তাঁকে বলা হয় যে, এটি কোনও সাধারণ পাথর নয়। বরং তা হাজার বছরের পুরানো কোনও উল্কাপিণ্ড। এ কথা শুনে রীতিমতো হতচকিত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি।
২০১৫ সালে ওই পাথর পেয়েছিলেন তিনি
মেলবোর্নের বাসিন্দা ডেভিড হোল ২০১৫-তে মেলবোর্ন সংলগ্ন মেরিবোরে রিজিওনাল পার্কে গিয়েছিলেন। সেখান লাল ও হলুদ রঙের একটি ভারী পাথর দেখতে পান। সোনা ভেবে তিনি তা কুড়িয়ে নিয়েছিলেন। আসলে ১৯ শতকে এই জায়গা সোনার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। সেজন্যই তিনি ওই পাথরকে সোনা ভেবে নিয়েছিলেন। ওই জায়গায় প্রচুর সোনা পাওয়া যেতে। তাই সোনা ভেবে ওই পাথর বাড়িতে নিয়ে আসেন ডেভিড।
বাড়িতে নিয়ে আসার পর ডেভিড ওই পাথর ভেঙে সোনা বের করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু পাথর ভাঙতেও পারেননি। এরপর সযন্তে ওই পাথর রেখে দেন তিনি। এর ছয় বছর পর তাঁর মনে হয় যে, ওই পাথরে সোনা নেই, কিন্তু পাথরের মতোও নয়। অন্য রকম কিছু মনে হয়। ভাঙতে গেলেও তা ভাঙা যায় না। এ সব সাতপাঁচ ভেবে তিনি পাথরটি নিয়ে মেলবোর্ন মিউজিয়ামে পৌঁছে যান। সেখানে আধিকারিকদের হাতে পাথর তুলে দেওয়ার পর যা শুনলেন, তাতে ডেভিড হতবাক হয়ে যান। মিউজিয়ামের আধিকারিকরা তাঁকে জানান যে, ওটি সাধারণ কোনও পাথর নয়, বরং অতি প্রাচীন একটি উল্কাপিণ্ড।
পাথর দেখার পর মিউজিয়ামের ভূবিজ্ঞানী ডেটমোর হেনরি সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে জানান যে, তিনি তাঁর জীবনে কেবল দুটি উল্কাপিণ্ড দেখেছেন। তার মধ্যে এটি একটি।
হেনরি অনুমান, ডেভিড যে উল্কাপিণ্ড পেয়েছেন, তা মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যেকার অ্যাস্টরয়েড বেল্ট থেকে এসে থাকতে পারে। ওই উল্কাপিণ্ডের বয়স হতে পারে প্রায় ৪৫ লক্ষ বছর। ১০০ বা ১০০০ বছর আগে তা পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)