‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জিয়া, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জামিন থেকে বঞ্চিত করা সংবিধান ও মানবাধিকারের পরিপন্থী’, সরব বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পাল্টা দাবি, আদালতে হাজিরা এড়াতেই অসুস্থতার অজুহাত আনছেন বিএনপি নেত্রী।
ঢাকা: একাধিক ফৌজদারি মামলা ও ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জেলবন্দি। ২০০ বছর পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা জামিরুদ্দিন সরকারের অভিযোগ, জেলের পরিবেশ এতটাই খারাপ, যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন খালেদা। আরও একধাপ এগিয়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে প্রাক্তন স্পিকার জামিরুদ্দিন সরকার বলেন, “জীবন-মৃত্যুর ফাঁদে আটকে গিয়েছেন খালেদা জিয়া। তাঁকে আটকে রেখে জামিন থেকে বঞ্চিত করে রাখা সংবিধান ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।”
তাঁর আরও অভিযোগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছিল, কারাগারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর চিকিত্সার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। সেই কথা রাখা হয়নি। বর্তমান হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-র এই নেতার অভিযোগ, “সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে একাধিক মামলার শুনানি আটকে রাখছে। দুঃখজনক, সরকার জিয়ার চিকিত্সার কোনও সুবন্দোবস্ত করছে না।”
জিয়ার দলের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং তাঁর চিকিত্সক এজেএম জাহিদ জানিয়েছেন, “জিয়া মাত্রাতিরিক্ত ব্লাড সুগারে আক্রান্ত। তাঁর রোজ ইনসুলিন প্রয়োজন। জিয়ার জিহ্বের সংক্রমণও সারছে না। বাঁ কাঁধ ও কনুইয়ের সংযোগস্থল ক্রমশ অবশ হয়ে যাচ্ছে। হৃদপিন্ডের অবস্থাও ভাল নয়।”
যদিও বিএনপি নেতাদের এই দাবিকে কার্যত নস্যাত্ করে দিয়ে গতবছর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পাল্টা দাবি করেছিলেন, আদালতে হাজিরা এড়াতেই অসুস্থতার অজুহাত আনছেন বিএনপি নেত্রী। অভিযোগ, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন অনাথ আশ্রমের নামে বৈদেশিক অনুদান তছনছ করেছেন তিনি। ওই মামলায় নিম্ন আদালত তাঁকে ১০ বছর কারাবাসের সাজা দেয়। এছাড়াও একাধিক ফৌজদারি মামলাও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।