Bangladesh : বাংলাদেশে ৯ বছরে ৩৭২১টি বাড়ি-ধর্মীয়স্থানে ভাঙচুর ! বলছে রিপোর্ট
গত তিন বছরে ওই সম্প্রদায়ের ১৮টি পরিবার হামলার শিকার হয়েছে...
ঢাকা : গত নয় বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর প্রায় ৩ হাজার ৭২১ টি হামলা হয়েছে। একটি সংস্থার তরফে এমনই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২১ সালই সবথেকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ঢাকা ট্রাইবুন সূত্রের খবর। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে নির্দিষ্ট এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয়স্থান ও আচারের জায়গায় ১ হাজার ৬৭৮টি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত তিন বছরে ওই সম্প্রদায়ের ১৮টি পরিবার হামলার শিকার হয়েছে।
গত নয় বছরের মধ্যে ২০১৪ সালের ছবিটাও ছিল ভয়ঙ্কর। ওই বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ২০১টি বাড়িতে ভাঙুচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। চলতি বছরে সেপ্টেম্বরে শেষ পর্যন্ত ১৯৬টি বাড়ি, ব্যবসাকেন্দ্র, ধর্মীয়স্থানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উৎসবের আবহে বাংলাদেশে অশান্তি চলছে। যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র, পূর্ব-পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। উৎসবের মধ্যেই বাংলাদেশের কুমিল্লা, ফেনি, রংপুর, চট্টগ্রাম-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে আসে অশান্তির খবর।
ইসকনের মন্দিরে হামলা থেকে বেশকিছু জায়গায় বাড়ি-ঘর-দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে ! এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছে শেখ হাসিনার সরকার! চলছে ধরপাকড়। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকার জানিয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, অশান্তির ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত, প্ররোচনামূলক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করাই ছিল হামলাকারীদের উদ্দেশ্য। এর নেপথ্যে কায়েমি স্বার্থ রয়েছে। প্রমাণ পেলেই তা প্রকাশ্যে আনা হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
অবিলম্বে অশান্তি বন্ধ করা ও সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে, ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে ইসকন। কলকাতার ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস বলেন, তাণ্ডব চলছে ৯ দিন ধরে। প্রশাসন যা পদক্ষেপ করেছে, তা যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে নিবেদন, ওরাও তো নাগরিক। কেন সুরক্ষা পাবেন না? ইউনাইটেড নেশন একটা তো ট্যুইট করবে! ওরা কি মানুষ নয়। তিন দিন হচ্ছ কোনওপ্রতিক্রিয়া দেয়নি। শাস্তি চাই দোষীদের।
এদিকে বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় এখনও অবধি শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে মামলা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে যথাযথ পদক্ষেপ না নিতে পারায়, ফেনি ও রংপুর জেলার পুলিশ সুপার , চট্টগ্রাম ও সিলেটের ডেপুটি কমিশনারকে অন্যত্র সরিয়ে করা হয়েছে। উৎসবের আবহে এই হামলার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। সোমবার ঢাকায় শাহবাগ চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা।