Bangladesh Violence : ভয়ে কাঁটা ভারতীয়রা, ত্রিপুরা-মেঘালয় দিয়ে দেশে ফিরল শয়ে শয়ে পড়ুয়া, বাংলাদেশ ছাড়তে মরিয়া বাকিরাও
Bangladesh Protest Update : অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। নেমেছে সেনা।
কলকাতা : পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-বাতিলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে ক্রমেই চড়ছে আন্দোলনের পারদ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ওপার বাংলা জুড়ে ছাত্র-যুবদের এই প্রতিবাদ তীব্র থেকে হচ্ছে তীব্রতর। পুরো রাষ্ট্র্রের আইনশৃঙ্খলা কার্যত ভেঙে পড়েছে। , জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ঢাকা শহরে জেলের গেট ভেঙে ঢুকে বন্দিদের মুক্ত করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এরই মধ্যে চরম সঙ্কটে পড়েছিলেন ভারতীয়রা। অবশেষে দেশে ফেরার জন্য মরিয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনা হল।
বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে দলে দলে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, শুধু শুক্রবারই ৪০৫ জন পড়ুয়াকে ডাওকি সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নেপাল ও ভুটানের কয়েকজন পড়ুয়া এবং বেশ কয়েকজন পর্যটককেও মেঘালয় সরকার উদ্ধার করেছে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজে ৩৬ জন পড়ুয়া আটকে রয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ফেরানোরও চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। নেমেছে সেনা। অন্যদিকে, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে মৃতের সংখ্যাও শতাধিক। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা আর টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসও বিপর্যস্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত ভারতীয় পড়ুয়ারা। তাই ত্রিপুরা ও মেঘালয় দিয়ে তাঁরা দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই মেডিক্যাল পড়ুয়া। কেউ কেউ পর্যটকও বটে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা তাঁরা।
এর মধ্যে সুরক্ষার কথা ভেবে শনি ও রবি কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সে-দেশে থাকা ভারতীয়দের বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'প্রথম আলো'র প্রতিবেদন অনুসারে, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনায় শুক্রবার ঢাকার রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় তিন ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে । হাসপাতাল সূত্রে খবর , নিহত তিনজন হলেন আবদুল গনি, রাকিব ও রাসেল। গতকাল দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্যদিকে রাসেলকে মৃত ঘোষণা করা হয় রামপুরার ফরাজী হাসপাতালে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।