কাস্ত্রোর মৃত্যুতে আনন্দ-উৎসব মিয়ামির বাসিন্দাদের
হাভানা: কিউবার প্রাক্তন কমিউনিস্ট সর্বাধিনায়ক ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে যখন দেশে শোকের ছায়া, শোকজ্ঞাপন আন্তর্জাতিক মহলের, তখন উচ্ছ্বাসে মেতেছেন অনেকেই। ফিদেল বিরোধী অনেকেই, যাঁরা তাঁর শাসন মানতে চাননি, আনন্দ উৎসব শুরু করেছেন তাঁরা। এই দলে রয়েছেন মায়ামির কয়েক হাজার লোক।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মৃত্যু হয় বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। গতকাল তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কাস্ত্রোর চিতাভস্ম নিয়ে ৪ দিন ধরে গোটা দেশে মিছিল করবেন তাঁর অনুগামীরা। তারপর আগামী ৪ ডিসেম্বর সান্তিয়াগোতে সমাধিস্থ করা হবে সেই ভস্ম।
কাস্ত্রোর মৃত্যুতে একদিকে যখন শোকে কাতর দেশের বহু মানুষ, তখন এই মৃত্যু সংবাদ শোনার পর পরই রাস্তায় নেমে আসেন কিউবা বংশোদ্ভূত মার্কিন বাসিন্দারা। তাদের কাছে কাস্ত্রো ছিলেন স্বৈরাচারী নিষ্ঠুর শাসক। মিয়ামিতে কিউবার পতাকা উড়িয়ে, বাদ্যযন্ত্র, থালা বাসন, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, শ্যাম্পেন স্প্রে করে, রাস্তায় হুল্লোড়ে মাতেন মিয়ামির বাসিন্দারা। নেচে-গেয়ে, আতসবাজি পুড়িয়ে ফিদেলের মৃত্যু উদযাপন করা হয়। 'কিউবা স্বাধীন'-এই শ্লোগানও দিতে থাকেন। আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। রাস্তাতেই আয়োজন হয় পার্টির। পার্টিতে গাওয়া হয় কিউবার জাতীয় সঙ্গীত।
একজন বাসিন্দা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি উৎসব। তবে কারো মৃত্যুর জন্য এ উৎসব নয়। বরং এটি স্বাধীনতার উৎসব, যার জন্য আমরা অনেক বছর ধরে অপেক্ষা করছি।’ অ্যারেনসিবিয়া নামে এক উচ্ছ্বাসকারী বলেন, এরকম মানুষের কখনও জন্ম হওয়া উচিত নয়। অনেকে আবার কাস্ত্রোর ভাই এবং তাঁদের গোটা পরিবারকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি।
গোটা বিশ্ব কাস্ত্রোকে মনে রাখবে তাঁর সফল বিপ্লব, তাঁর কট্টর আমেরিকা বিরোধী মানসিকতা এবং হার না মানা মনোভাবের জন্য। বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে কিউবায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবা ভ্রমণ করেন। ফলে দেশ দুটির মধ্যে পুনরায় একটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।