Durga Puja 2022 : লাল-পাড় সাদা শাড়িতে ঘোর কৃষ্ণবর্ণা দুর্গা, তাক লাগাতে তৈরি কানাডার বঙ্গ পরিবার
Durga Puja In Abroad : মূল আকর্ষণ হল প্রতিমা। এখানে একচালা প্রতিমায় মা দুর্গা কৃষ্ণবর্ণা।
নিবেদিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা : গত ২ বছরের আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে সারা বিশ্ব। ২০২১-এর পুজোয় কোভিডের চোখরাঙানি সত্ত্বেও তুমুল আনন্দে মেতেছিল কলকাতা। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে অচিরেই। কিন্তু ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশে কিন্তু সকলে একত্রিত হয়ে পুজো করার অনুমতি মেলেনি। তবে এবছর চিত্রটা অনেকটাই স্বস্তির।
প্রবাসী বাঙালিদের পুজো
এইবছর কোভিড কাঁটা কাটিয়ে পুজোর আনন্দে মাততে চলেছে কানাডার প্রবাসী বাঙালিরাও। গ্রিন সিগন্যাল মিলেছে সে-দেশের প্রশাসনের তরফেও। আগের বছরগুলির মতো জমায়েতে কড়া নিয়মবিধি এই বছর আর নেই। ছন্দে ফেরার অনুমতি পেতেই হইহই করে ওঠেন ভারতীয়রা জানালেন, কানাডাবাসী ভারতীয়
কানাডার ওকভিলেয় (Oakville) বঙ্গ পরিবারের ( Bongo Poribar ) পুজো ঘিরে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। এই বছর তাঁদের পুজোর ৮ বছর। আর এঁদের মূল আকর্ষণ হল প্রতিমা। এখানে একচালা প্রতিমায় মা দুর্গা কৃষ্ণবর্ণা। এই বছর অক্টোবর মাসের ৮ ও ৯ তারিখ অর্থাৎ ভারতীয় পুজোর তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পর। যেহেতু, এখানে পুজোর আয়োজন করতে হয়, কমিউনিটি হলেই, মণ্ডপে নয় !
শ্যামা দুর্গা
পুজো কমিটির কর্ণধার অমিতাভ চক্রবর্তী জানালেন, এটিই নর্থ আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণবর্ণা দুর্গামূর্তি। জানা গেল, এই প্রতিমা তৈরি করেছিলেন এ বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী শুভমিতা দিন্দা। কয়েকবছর আগে প্রতিমা যায় সে-দেশে। তারপর থেকে ওই মূর্তিই রাখা থাকে উদ্যোক্তাদের কাছে। বছর-বছর বের করে পুজো করা হয়। এই পুজোয় পৌরহিত্যের দায়িত্বে থাকেন সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টরন্টো কালীবাড়ির পুজো করতেন।
এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছেন বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক, যাঁরা কানাডার পাকাপাকি বাসিন্দা। তাঁরাই কোমর বেঁধে স্পনসর জোগাড় করা থেকে অনুষ্ঠান - সবটাই আয়োজন করে থাকেন। হল বুক করাও তাঁদেরই দায়িত্ব। এবারও তাঁর অন্যথা হয়নি।
পুজো কমিটির কর্ণধার অমিতাভ চক্রবর্তী জানালেন, সেন্ট ভলোডিমির সেন্টারে হবে পুজো। জুলাইতেই বের করা হয়েছে দুর্গার মূর্তি । দেবী এখানে সাদা ও লাল পাড় শাড়ি পরিহিতা।
পুজোর আয়োজন
খাওয়া দাওয়া ছাড়া কি পুজো হয়? এখানকার বঙ্গবাসীরাও ভোজনবিলাসী। জমিয়ে ভোগ খাওয়া ও প্রসাদের মেনুও তৈরি । থাকছে খিচুড়ি , পাঁপড়, চাটনি, মিষ্টিও। ঠাকুরের প্রসাদ পোলাও, ফুলকপির তরকারি, ৫ ভাজা, চাটনি, পায়েস - সব কিছুর আয়োজন থাকবে।
থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও। কলকাতার নাম করা শিল্পীরাও কানাডা যাচ্ছেন পারফর্ম করতে। তবে এখনই নাম জানাতে চাইছেন না উদ্যোক্তারা। এছাড়াও পুজোর সঙ্গে যুক্ত ভারতীয়দের নাচ-গান তো থাকছেই।
নিয়মে কোনও ত্রুটি হবে না, জানালেন পুজো উদ্যোক্তারা। সন্ধি পুজোর ১০৮ পদ্মফুলের আয়োজন থাকবে। তার বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। গাঁদা ফুলের অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা কাঁটা পেরিয়ে ছন্দে ফিরে খুশি সকলেই।