Qatar Death Penalty: ইজরায়েলের হয়ে কাতারে চরবৃত্তির অভিযোগ, ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন ভারতের
India Qatar Relations: বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
নয়াদিল্লি: ইজরায়েলের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় বায়ুসেনার আট আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড শুনিয়েছে কাতারের আদালত। কাতার আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাল দিল্লি। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। কাতার সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি। (Qatar Death Penalty)
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, "কাতারের একটি প্রাথমিক আদাল আট ভারতীয় কর্মীকে এই সাজা শুনিয়েছে। রায়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সেটি ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আবেদনও জানানো হয়েছে। কাতারের আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি আমরা।" (India Qatar Relations)
শুধু তাই নয়, ওই আট জন ভারতীয়র সঙ্গে দেখা করতে দ্বিতীয় বার কনস্যুলার অ্যাকসেসও পেয়েছে ভারত, অর্থাৎ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা। যে আটজন মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন, তাঁরা এক সময় ভারতীয় রণতরীতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার আগে দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-এ কর্মরত ছিলেন।
এ বছর অক্টোবর মাসে কাতারের আদালত ওই আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। অভিযোগ ছিল, দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-এ কর্মরত থাকাকালীন কাতারের গোপন সাবমেরিন প্রকল্পের তথ্য ইজরায়েলকে সরবরাহ করছিলেন তাঁরা।
যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড শোনানো হয়েছে, তাঁরা হলেন প্রাক্তন নৌ আধিকারিক ক্যাপ্টেন নভতেজ সিংহ গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কম্যান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, কন্যান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কনম্যান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কম্যান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। কাতারের সশস্ত্রবাহিনীকে প্রশিক্ষণ পরিষেবা প্রদান করা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। পূর্ণেন্দু তিওয়ারি ভারতীয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
কাতার আদালতের নির্দেশে কার্যতই স্তম্ভিত হয়ে যায় দিল্লি। কোন মামলায় ওই চারজনকে জেলে রাখা হয়েছে, সেটা পর্যন্ত জানানো হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও ধৃতদের পরিবারের দাবি, কোন মামলায়, কী ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে, কী কী অভিযোগ রয়েছে, তার কিছুই জানানো হয়নি তাঁদের। কাতার সরকার তো বটেই, ভারতের তরফেও কোনও রকম সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।