Japan Earthquake : ভূকম্পে লাইনচ্যুত বুলেট ট্রেন, ২০ লক্ষ বাড়ি বিদ্যুৎহীন, ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র
7.4-magnitude earthquake strikes northern Japan : কম্পনের জেরে লাইনচ্যুত হয়েছে বুলেট ট্রেনও ! কম্পনের ফলে অন্তত ২০ লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
টোকিও : ফিরল সেই ভয়াবহতা । ১১ বছর আগের স্মৃতি উস্কে ফের কেঁপে উঠল জাপান। জারি হল সুনামি সতর্কতা। ভূমিকম্পে ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। কোনও কোনও সূত্র দাবি করছে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। জাপানের ভূমিকম্পে প্রকাশ্যে এসেছে ভয়াবহ ছবি। কম্পনের জেরে লাইনচ্যুত হয়েছে বুলেট ট্রেনও ! কম্পনের ফলে অন্তত ২০ লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
কম্পনের উত্সস্থল জাপানের উত্তরে ফুকুশিমা শহর। রিখ্টার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৪। কম্পনের জেরে বিদ্যুৎহীন বিরাট এলাকা। শুধু টোকিওতেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৭ লক্ষ বাড়ি। ২০১১ সালের ভয়াবহ কম্পনে জাপানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেইসময় কম্পনের মাত্রা ছিল ৯। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র।
Two killed and dozens injured in the overnight earthquake that rattled large parts of east Japan: AFP
— ANI (@ANI) March 17, 2022
Drone images show a derailed Shinkansen bullet train in Shiroishi, Miyagi prefecture, after a 7.4-magnitude quake in large parts of east Japan overnight (Image source: AFP) pic.twitter.com/mfWJ1yEneo
এনএইচকে ফুটেজে দেখা গিয়েছে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের দেয়াল ভেঙে মাটিতে পড়ে গেছে। ফুকুশিমা শহরের প্রধান ট্রেন স্টেশনের কাছে রাস্তায় জানলার টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। রাস্তায় ফাটল এবং ভূগর্ভস্থ পাইপ ফেটে জল বেরিয়ে এসেছে। ফুটেজে ফুকুশিমার অনেক অ্যাপার্টমেন্টের মেঝেতে আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি ভেঙে পড়তে দেখা যাচ্ছে । বিভিন্ন দোকানে প্রসাধনী এবং অন্যান্য পণ্য তাক থেকে পড়ে মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে। টোকিওর কাছে ইয়োকোহামায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি রাস্তায় পড়ে যায়।
কয়েকদিন আগেই ছিল ২০১১-র মার্চের ওই ভয়াবহ বিপর্যয়ের ১১ তম বার্ষিকী । তার কয়েক দিনের মধ্যেই ফের ভূমিকম্প তাজা করে তুলেছে ১১ বছর আগের বিপর্যয়ের স্মৃতি।
উল্লেখ্য, জাপান অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘অগ্নি বলয়ে’র মধ্যেকার এলাকায়। এখানে ভূমিকম্প নতুন কিছু নয়য নিয়মিতই কম্পন অনুভূত হয় জাপানে। সেজন্য় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা যাতে ঘরবাড়ি সহ্য করতে পারে, সেজন্য কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়।