(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kabul Drone Attack: আমেরিকার ড্রোন হামলায় নিহত ১০ আফগান, 'ভুল স্বীকার' মার্কিন বাহিনীর
মার্কিন সেনা সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১০ আফগানের। এঁদের মধ্যে ৭ জন ছিল শিশু।
নয়া দিল্লি: গত ২৯ অগস্ট কাবুলে যে এয়ারস্ট্রাইক করেছিল মার্কিন সেনা সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১০ আফগানের। এঁদের মধ্যে ৭ জন ছিল শিশু। কাবুলের ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে সেই হামলার দায় স্বীকার করল মার্কিন জেনারেল।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার কেনেথ ম্যাককেঞ্জি শুক্রবার স্বীকার করেছেন যে কাবুলে আগস্টের শেষের দিকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে ৭ শিশু সহ আরও তিন ব্যক্তি। পেন্টাগনের প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় ম্যাককেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, "তদন্তের ফলাফল পর্যালোচনা করার পর, আমি এখন নিশ্চিত হয়েছি যে সেই হামলায় সাতজন শিশু সহ আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।"
তালিবান কাবুল দখলের পরই আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকার্য শুরু করেছিল আমেরিকা। উদ্ধারকার্য চলাকালীনই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেটের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। পর পরই কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় আরও দুটি থেকে তিনটি বিস্ফোরণ হয়। মোট ১৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সেই হামলার দায়স্বীকার করে নিয়েছিল আইসিসের শাখা সংগঠন আইসিস-খোরাসান বা আইসিস-কে। এরপরই ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। কেনেথ ম্যাককেঞ্জির কথায়, আমাদের সেনার উপরে যে হামলা চলছিল, তা থেকে সুরক্ষা দিতেই ওই এয়ারস্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি ভুল ছিল এবং এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ভিডিয়ো বিশ্লেষণে ধরা পড়েছিল, আইএস-কে জঙ্গি তো নয়ই, আমেরিকান ড্রোন সোজা গিয়ে আঘাত হেনেছে তাদের নিজেদের লোকেরই উপর। যে ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছে বাইডেন প্রশাসন, এমনটাই দাবি ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। একাধিক মার্কিন সংবাদপত্রে দাবি করা হয়, এয়ারস্ট্রাইকে আইসিস-কের নেতা নয়, মারা পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া উচিত সব দেশের। দেখা উচিত জঙ্গি সংগঠনগুলি যাতে আফগানিস্তানের মাটি থেকে নাশকতার ছক না কষতে পারে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে এ কথা সাফ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।