![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Malaysia Floods:মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন্যায় আশ্রয়হারা কয়েক হাজার, ফিলিপিন্সে টাইফুন রাইয়ে মৃত ৭৫
Malaysia: অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে মালয়েশিয়ায়, বিশেষ করে, দেশের পূর্ব উপকূলে বর্ষার সময় বন্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এবার এখনই প্রবল বর্ষণে ব্যাপক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ অংশ।
![Malaysia Floods:মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন্যায় আশ্রয়হারা কয়েক হাজার, ফিলিপিন্সে টাইফুন রাইয়ে মৃত ৭৫ Malaysia Floods Displace Thousands in Malaysia, Typhoon Leaves 49 Dead in Philippines Malaysia Floods:মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন্যায় আশ্রয়হারা কয়েক হাজার, ফিলিপিন্সে টাইফুন রাইয়ে মৃত ৭৫](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/12/19/596d8f4ed41cb0c9508f853bb80ac850_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কুয়ালামপুর ও ম্যানিলা: মালয়েশিয়ার প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যা। আশ্রয় হারা প্রায় ১১ হাজার মানুষ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক রাস্তা। এরপর ফলে জাহাজ থেকে পণ্য পরিবহণ ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্যার জলে আটকে পড়া লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে পুলিশ ও সেনা ও দমকল বিভাগের প্রায় ৬৬ হাজার কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে উদ্ধার অভিযান। শনিবার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে মালয়েশিয়ায়, বিশেষ করে, দেশের পূর্ব উপকূলে বর্ষার সময় বন্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এবার এখনই প্রবল বর্ষণে ব্যাপক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ অংশ। গত শুক্রবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। তা শনিবারও চলতে থাকে। এই মুষলধার বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমের রাজ্য সেলানগোরে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের পাশে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সম্বৃদ্ধ ও জনবহুল রাজ্য সেলানগোর।
ইসমাইল সাবরি বলেছে, বর্তমানে সেলানগোরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি রয়েছে। অন্য রাজ্যগুলিতে বর্ষার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সেলানগোরে আচমকাই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। প্রায় চার হাজার মানুষকে তাঁদের বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
দেশের বৃহত্তম বন্দর পোর্ট ক্ল্যাংয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজ পরিবহণ সংক্রান্ত কাজকর্ম বন্যায় ব্যাহত হয়েছে। অনেক হাইওয়ে ও রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় বাঁধ উপচে পড়া নদীর জল, ভূমি ধস, পরিত্যক্ত রাস্তাঘাটে ডুবে যাওয়া গাড়ির ছবি সামনে এসেছে।
সেলানগোরের শাহ আলম জেলার এক বাসিন্দা আশরফ নুর আজম বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি যে এতটা গুরুতর হয়ে পড়বে, তা তিনি ভাবতেও পারেননি। রাস্তার ধারে গাড়ি রেখেই তাঁকে পালিয়ে আসতে হয়। তিনি বলেছেন, প্রায় চার ঘণ্টা রাস্তাতেই আটকে ছিলাম। কোনও সাহায্য আসেনি। এরমধ্যে বন্যা পরিস্থিতিরও কোনও উন্নতি না হওয়ায় গাড়ি থেকে নেমে জল পেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিই।
এরইমধ্যে টাইফুনে ফিলিপিন্সের প্রদেশ বোহোলে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহেই শক্তিশালী টাইফুন আছড়ে পড়েছিল ফিলিপিন্সে। তীব্র ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় দেশের বিস্তীর্ণ অংশ। ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক গভর্নর আর্থার ইয়াপ। সরকারি সংস্থা অবশ্য মৃতের সংখ্যা ৩১ বলে জানিয়েছে। সরকারি এই তথ্যে বোহেোলে মৃতদের সংখ্যা যুক্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। জানা গেছে, টাইফুন রাইয়ে দেশে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)