(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
‘জিও’-র ভাবনা প্রথম এসেছিল মেয়ে ঈশার মনে: মুকেশ অম্বানি
লন্ডন: ‘জিও’-র ভাবনা প্রথম এসেছিল তাঁর মেয়ে ঈশার মাথায়। এমনটাই জানালেন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি।
বৃহস্পতিবার, লন্ডনে একটি সম্মেলনে সম্মানিত করা হয় ধনীতম ভারতীয়কে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে তিনি জানান, দেশের মোবাইল ফোন ও মোবাইল পরিষেবা বাজারে এখনও পর্যন্ত ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছেন তিনি।
মুকেশের মালিকানাধীন ‘রিলায়েন্স জিও’ টেলিকম পরিষেবা, ২ বছরের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল ব্রডব্যান্ড ডেটা ব্যবহারকারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ইস্তক বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বীদের হঠিয়ে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে উঠে এসেছে জিও।
আজীবন নিখরচায় কল পরিষেবা থেকে শুরু করে স্বল্প মূল্যে তথ্য সরবরাহ—সবকিছুতেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের চরম প্রতিযোগিতায় ফেলে দিয়েছে জিও। আগামী দিনে ডেটা-হেভি পরিষেবার ওপর জোর দিতে চাইছে জিও—যার মাধ্যমে বাড়ি, দফতর ও গাড়িতেও নিরন্তর ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে।
এই প্রসঙ্গে, নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে অম্বানি বলেন, ২০১১ সালে জিও-র ভাবনা প্রথম আসে আমার মেয়ে ইশার মধ্যে। মুকেশ স্মরণ করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইশা সেই সময়ে ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। কোর্স সংক্রান্ত কিছু তথ্য তার পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু, ইন্টারনেট স্পিড ভাল না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় ঈশা।
মুকেশ জানান, সেই সময় ভারতে (মোবাইল) ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার গুণমান অত্যন্ত নিম্ন ছিল। পাশাপাশি, তার দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে রাখা ছিল। ফলে, তা আমজনতার হাতের নাগালের বাইরে ছিল। তাঁর দাবি, জিও এসে সব বদলে দিয়েছে। তথ্য সরবরাহ যেমন অফুরন্ত হয়েছে, তেমনই দামও হাতের নাগালে চলে এসেছে। পাশাপাশি, দেশের প্রতিটি কোনে এখন মোবাইল ডেটা নেটওয়ার্কের কোনও সমস্যা নেই।