Russia Ukraine War: যে নাক গলাবে, তার বিরুদ্ধেই যুদ্ধ, ইউক্রেন নিয়ে অন্য দেশকে হুঁশিয়ার পুতিনের
Russia Ukraine War: যুদ্ধকালে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে পালিয়েছেন ১৪ লক্ষের বেশি মানুষ। ২ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মস্কো: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভেস্তে গিয়েছে যুদ্ধবিরতি। নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে ইউক্রেনে (Russia Ukraine War)। তার মধ্যেই পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। জানিয়ে দিলেন, ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করতে যদি তৃতীয় কোনও পক্ষ এগিয়ে আসে, সে ক্ষেত্রে তাদেরও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে ধরা হবে।
রুশ আক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করতে চেয়ে ন্যাটোর (NATO) কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি। তাদের দাবি, আকাশসীমা বন্ধের অর্থ ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার কোনও বিমান প্রবেশ করতে দেখলেই গুলি করে সেটিকে নামাতে হবে। কিন্তু ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যই নয়।
আবার রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যেতেও আপত্তি জানিয়েছে একাধিক দেশ। তাতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। আকাশসীমা বন্ধ না করার অর্থ রাশিয়াকে হামলার ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া, এমন মন্তব্য করেন তিনি। তার পরই এ নিয়ে অন্য দেশকে পিছু হটতে বললেন পুতিন।
যুদ্ধকালে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে পালিয়েছেন ১৪ লক্ষের বেশি মানুষ। ২ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে বেরিয়ে যেতে দিতে চেয়ে শনিবার সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে রাশিয়া। মানবিক করিডর গড়ে সকলকে নিরাপদে সরানোর পরিকল্পনা গৃহীত হয়। তাতে সম্মত হয় ইউক্রেনও।
কিন্তু ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভেস্তে যায় সেই যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতি চলাকালীনও রাশিয়ার তরফ থেকে আক্রমণ নেমে আসছিল বলে এক দিনে যেমন দাবি করেছে কিভ, তেমনই মস্কোর দাবি, উদ্ধারকার্য চলাকালীন ইউক্রেনই প্রথম হামলা করে রুশ সেনার উপর। পুতিনের মতে, এ ভাবে চললে ইউক্রেন দেশ হিসেবে টিকে আদৌ টিকে থাকবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। তখন কি বিবেকের কাছে জবাব দিতে পারবেন দেশের নেতারা?
ইউক্রেনের তরফে যদিও তৃতীয় দফায় রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। কিন্তু নানা বাহানা দেখিয়ে ওই বৈঠক পিছিনো হচ্ছে বলে দাবি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সেরগে লাভরভ। দুই দেশকে সমঝোতায় নিয়ে আসতে কূটনৈতিক স্তরেও প্রচেষ্টা চলছে। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইতিমধ্যেই পোল্যান্ড পৌঁছে গিয়েছেন।