Russia Ukraine War: রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকায় আগুন
মারিউপোল শহরে লাগাতার রুশ গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ। রুশ হামলায় ২০৫ শিশুর মৃত্যু, আহত সাড়ে ৩০০-র বেশি, এমনই দাবি ইউক্রেনের।
সৌমিক সাহা, ইউরক্রেন: রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানা: ইউক্রেনের লিভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানা। ক্ষেপণাস্ত্র হানায় বড় এলাকায় আগুন। ক্ষেপণাস্ত্র হানার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। মারিউপোল শহরে লাগাতার রুশ গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ। রুশ হামলায় ২০৫ শিশুর মৃত্যু, আহত সাড়ে ৩০০-র বেশি, এমনই দাবি ইউক্রেনের।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত একের পর এক স্কুল, খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম: যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার নির্বিচার আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে একের পর এক স্কুল, খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম। এর মধ্যেও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। বেলারুশ, রাশিয়া, ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে এবিপি আনন্দর প্রতিবেদন।
২ মাস পরেও যুদ্ধ (War) থামার কোনও লক্ষণ নেই: হামলা অব্যাহত রুশ বাহিনীর। ধ্বংস ইউক্রেনের (Ukraine) অস্ত্র কারখানা। পরমাণু-হামলা চালাতে পারেন পুতিন (Putin), বিশ্বকে সতর্ক করলেন জেলেনস্কি। ধ্বংসস্তূপের মাঝেই এক ইউক্রেন সেনার শেষকৃত্যের সাক্ষী হল ABP আনন্দ।
৫২ দিন হয়ে গেল। যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। রাশিয়ার আক্রমণে অবাধ ধ্বংসলীলা চলছে বিভিন্ন শহরে। উত্তর ইউক্রেনের চেরনিহিভ শহরে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করেছিল রাশিয়া। তারই জ্বলন্ত নিদর্শন এই শহরের আনাচ-কানাচে। রাশিয়ার হামলায় এভাবেই ইউক্রেনের একের পর এক স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কোথাও কোথাও স্কুলগুলিকে যুদ্ধপিড়ীতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। মারিউপোলের মতো বিধ্বস্ত শহরে স্কুলের মাঠে মৃতদেহ সৎকার পর্যন্ত করতে হয়েছে ইউক্রেনীয় প্রশাসনকে। রাশিয়ার হামলার মুখে ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকে এ পর্যন্ত লক্ষাধিক শিশুকে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে তাদের পরিবার। তবে এরই মধ্যে লিভ-সহ কোনও কোনও শহরে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে ইউক্রেনের শিক্ষা মন্ত্রক।
রাশিয়ার আগ্রাসন যেমন ইউক্রেনের অসংখ্য স্কুল পড়ুয়াকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, তেমনই কেড়ে নিয়েছে খেলাধূলোর সুযোগ! শহরের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব ডেসনা চেরনিহিভের হোম গ্রাউন্ড এটা। একাংশে ছিল লাইব্রেরি। কিন্তু রাশিয়ার বায়ুসেনার হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে এই স্টেডিয়াম! চেরনিহিভের অলিম্পিক স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টারটিও ধূলিসাৎ হয়ে গেছে রাশিয়ার আক্রমণে।
ভেঙে চুরে যাওয়া স্টেডিয়ামের চারপাশটা একবার ঘুরে দেখার কথা বলতেই সটান না বলে দিলেন আমাদের গাইড!
মনে পড়ে গেল, সামনেই কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ! তাতে সুযোগ পেতে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। পৌঁছে গিয়েছে কোয়ালিফায়ারের প্লে অফেও। সামনেই স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কিন্তু যুদ্ধের কারণে, নিজের দেশ ছেড়ে, স্লোভেনিয়ায় তার প্রস্তুতি সারতে হবে আলেকজান্ডার জিনচেঙ্কো, রোমান ইয়ারেমচুকদের। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এটাও তো তাঁদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।